Educational Blog Sites

Friday, March 9, 2018

Chapter-02 (Data Communication & Networking)

১) ডেটা কমিউনিকেশন বলতে কি বুঝায়? [ঢা-০১,কু-০১,১৩,রা-০২,চ-০৫,০৮,১৩,ব-০৮]
উত্তর : ডেটা কমিউনিকেশন (Data Communication): কোনো ডেটা বা তথ্যকে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটার কিংবা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে (মোবাইল, স্মার্টফোন ইত্যাদি) কিংবা একস্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা একজনের ডেটা বা তথ্যকে অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে। এটি এমন ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে এক স্থান হতে অন্যস্থানে নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা বা তথ্য সহজে ও দ্রূততম সময়ে আদান-প্রদান করা যায়। 

) ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান বা অংশসমূহ কী কী বর্ণনা কর।[ঢা-০১,কু-০১,১১, -০৫,০৮, ১৩,-০৪, রা-০২,সি-০২]
ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান (Elements of Data Communication): ডেটা কমিউনিকেশন প্রক্রিয়ায় একস্থান হতে অন্যস্থানে নির্ভরযোগ্যভাবে ডেটা বা তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব। ডেটা কমিউনিকেশনের পাঁচটি মৌলিক উপাদান হলো-
. উৎস (Source) . প্রেরক (Transmitter) . মাধ্যম (Medium) . গ্রাহক (Receiver) . গন্তব্য (Destination)
. উৎস (Source): ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে যেসব ডিভাইস হতে ডেটা বা উপাত্ত তৈরি করা হয় তাকে উৎস বলে। যেমন- কম্পিউটার, টেলিফোন ইত্যাদি
. প্রেরক (Transmitter): উৎস থেকে ডেটা সরাসরি প্রেরণ করা যায় না। এর জন্য প্রেরকের প্রয়োজন হয়। উৎস থেকে প্রাপকের নিকট ডেটা পাঠানোর জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তাকে প্রেরক বলে। যেমন : কার্ড রিডার, পেনড্রাইভ ইত্যাদি। 
. মাধ্যম (Medium): যার মাধ্যমে ডেটা একস্থান থেকে অন্যস্থানে অথবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা হয় তাকে ডেটা প্রবাহের বাহক বা মাধ্যম বলা হয়। যেমন-ক্যাবল, পাবলিক টেলিফোন লাইন, রেডিও ওয়েভ, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি
. গ্রাহক বা প্রাপক (Receiver): যে যন্ত্রের মাধ্যমে ডেটা গ্রহণ করা হয় তাকে গ্রাহক বা প্রাপক বলে। গ্রাহক বা প্রাপক হিসেবে মডেম ব্যবহার করা হয়। গ্রাহক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম কম্পিউটারের অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে পরিণত করে

. গন্তব্য (Destination): সর্বশেষ যে ডিভাইসে ডেটাসমূহকে পাঠানো হয় তাকে গন্তব্য বলে। গন্তব্য হিসেবে সার্ভার, পার্সোনাল কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়

৩) ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড কী? বিভিন্ন প্রকার ডেটা ট্রান্সমিশন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ। [ঢা-০৭,কু-০৭,চ-০৫,০৯,১৩,সি-০৮,১১,রা-১১,দি-১০
ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড (Data Transmission Speed): এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে কিংবা একস্থান হতে অন্যস্থানে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড বলে। এ ট্রান্সমিশন স্পিডকে Bandwidth ও বলা হয়। সাধারণত Bit per Second (bps) এ এই ব্যান্ডউইথ হিসাব করা হয়। প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ বিট ট্রান্সমিট করা হয় তাকে bps বা Bandwidth বলে।
ডেটা ট্রান্সফার গতির উপর ভিত্তি করে কমিউনিকেশন গতিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১. ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band)
২. ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band)
৩. ব্রড ব্যান্ড (Broad Band)
১. ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band): ন্যারো ব্যান্ডের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরের গতি সবচেয়ে কম। যে ব্যান্ডে ডেটা চলাচলের গতি ৪৫ নঢ়ং থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে তাকে ন্যারো ব্যান্ড বা সাব-ভয়েজ ব্যান্ড বলে। সাধারণত ধীরগতির ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এ ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। টেলিগ্রাফিতে তারের ব্যবহার বেশী হওয়ায় ডেটা স্থানন্তরের গতি কম। যেমন-টেলিগ্রাফ।
২. ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band): এ ব্যান্ডের ডেটা ট্রান্সমিশন হার ৯৬০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ল্যান্ড টেলিফোনে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে কম্পিউটার ডেটা কমিউনিকেশনে কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিংবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে এ Band Width ব্যবহার করা হয়।
৩. ব্রড ব্যান্ড (Broad Band): এটি উচ্চ গতিসম্পন্ন Band Width- যার ডেটা ট্রান্সমিশন হার ১ মেগা bps  হতে অতি উচ্চগতি পর্যন্ত হয়ে থাকে। Broad Band সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবার ডেটা স্থানান্তরে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া WiMax, স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন  প্রভৃতি ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়।


৪) ডেটা ট্রান্সমিশন মোড সম্পর্কে বিস্তারিত লিখ।  [ঢা-০৭,কু-০৬,১০,রা-০৭,০৯,য-০৬,১১,চ-০৬,০৯, ব-১১,সি-০৭,১১ দি-০৯ সি-০৫]
উত্তর: ডেটা ট্রান্সমিশন মোড (Data Transmission Mode): কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ডেটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডেটা স্থানান্তরের প্রবাহের উপর ভিত্তি করে অর্থাৎ দিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
১. ইউনিকাস্ট (Unicast) ২. ব্রডকাস্ট (Broadcast) ৩. মাল্টিকাস্ট (Multicast)
ইউনিকাস্ট (Unicast): যে ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক (কম্পিউটার) ও প্রাপকের (কম্পিউটার) মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান হয় তাকে ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। এ ট্রান্সমিশন মোডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১) সিমপ্লেক্স (Simplex)
২) হাফ-ডুপ্লেক্স (Half Duplex)
৩) ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex
সিমপ্লেক্স (Simplex): ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র একদিকে ডেটা প্রেরণের মোড বা প্রক্রিয়াকে বলা হয় সিমপ্লেক্স। এ পদ্ধতিতে কেবলমাত্র ক হতে খ এর দিকে ডেটা প্রেরণ করা যাবে কিন্তু খ হতে ক এর দিকে ডেটা প্রেরণ করা যাবে না। সিমপ্লেক্স ব্যবস্থার যে প্রান্ত ডেটা প্রেরণ করবে সে প্রান্ত ডেটা গ্রহণ করতে পারবে না এবং গ্রহণ প্রান্তও প্রেরণ করতে পারবে না। উদাহরণ-রেডিও, টিভি ইত্যাদি।

হাফ-ডুপ্লেক্স (Half Duplex): এ ব্যবস্থায় ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে উভয় দিক থেকে ডেটা প্রেরণ করা যায় তবে তা একই সময়ে সম্ভব নয়। এ পদ্ধতিতে যেকোনো প্রানÍ একই সময়ে কেবলমাত্র ডেটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না। 

ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex): এ ব্যবস্থায় ডেটা স্থানান্Íরের ক্ষেত্রে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়। এক্ষেত্রে যেকোনো প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে। চিত্রে ফুল-ডুপ্লেক্সের ক্ষেত্রে, ক যখন খ এর দিকে ডেটা প্রেরণ করবে খ ও তখন ক এর দিকে ডেটা প্রেরণ করতে পারবে। উদাহরণ-টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স ও ফুল-ডুপ্লেক্স মোডকে একত্রে ইউনিকাস্ট (টহরপধংঃ) মোডও বলা হয়।

ব্রডকাস্ট (Broadcast): এ ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কের কোনো একটি নোড (কম্পিউটার, প্রিন্টার বা অন্য কোনো যন্ত্রপাতি) থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোডই গ্রহণ করে। উদাহরণ হিসেবে টিভি ও রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করলে তা সকলেই উপভোগ করতে পারে। 

মাল্টিকাস্ট (Multicast): মাল্টিকাস্ট ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় নেটওয়ার্কের কোনো একটি নোড (কম্পিউটার, প্রিন্টার বা অন্য কোনো যন্ত্রপাতি) থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্থ সকল নোডই গ্রহণ করতে পারে না। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে। যেমন- টেলিকনফারেন্সিং ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যাদের অনুমতি থাকবে তারাই অংশগ্রহণ করতে পারবে। 

৫) হাফ-ডুপ্লেক্স ও ফুল-ডুপ্লেক্স এর মধ্যে পার্থক্য লিখ।
১।হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে কোন প্রান্ত একই সময়ে কেবল ডেটা গ্রহন কিংবা প্রেরণ করতে পারে, কিন্তু গ্রহন এবং প্রেরণ একই সময়ে একসাথে করতে পারে না।অন্যদিকে, ফুল-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে উভয় দিক থেকে একই সময়ে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহন করা যায়।
২।হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতির ব্যবহার তুলনামূলক জটিল। অন্যদিকে, ফুল-ডুপেক্স পদ্ধতির ব্যবহার তুলনামূলক সহজ।
৩। হাফ-ডুপ্লেক্স কারিগরিভাবে অসমৃদ্ধ পদ্ধতি।অন্যদিকে, ফুল-ডুপেক্স কারিগরিভাবে সমৃদ্ধ পদ্ধতি।
৪। হাফ-ডুপ্লেক্স এর উদাহরণ- ওয়াকিটকি।অন্যদিকে, ফুল-ডুপেক্স এর  উদাহরন- টেলিফোন, মোবাইল।

৬) ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কি ? 
ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি (Method of Data Transmission): যে পদ্ধতিতে ডেটা এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে স্থানন্তরিত হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি বলে। কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তর হয় সিগন্যাল বিটের মাধ্যমে। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশন হওয়ার সময় অব্যশই দু কম্পিউটারের মধ্যে সিগন্যাল বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে সম্মত হতে হয়। বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে না পারলে প্রাপক কম্পিউটার সে সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারে না। এ সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন।
কম্পিউটার ডেটা কমিনিউকেশনে প্রধানত তিন ধরনের বিট সিনμোনাইজেশন ব্যবহৃত হয়। যথা:
১. এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission)
২. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronous Transmission ) ও
৩. আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Isochronous Transmission)

৭) এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি ? এর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা ও ব্যবহার নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর। [রা-০৫,চ-০৫,০৭,সি-০৮,দি-১০]
এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission): যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা গ্রাহক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। এসিনক্রোনাস  পদ্ধতিতে ৮ বিটের ক্যারেক্টার ডেটাকে ট্রান্সমিশনের পূর্বে তার সম্মুখে একটি স্টার্ট বিট এবং শেষে একটি বা দুটি স্টপ বিট সংযুক্ত হয়ে প্রতিটি ক্যারেক্টার ১০ অথবা ১১ বিটের ডেটায় রূপান্তরিত হয়ে ট্রান্সমিট হয়। 

এসিনক্রোনাস  ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Asynchronous Transmission)
১. এ ধরনের ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক যেকোনো সময় ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারবে এবং গ্রাহকও তা গ্রহণ করবে।
২. এ পদ্ধতিতে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হবার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝের বিরতি সময় সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
৩. প্রেরক স্টেশনে প্রাইমারি স্টোরেজের প্রয়োজন হয় না।
৪. ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থার দক্ষতা ও গতি কম।
৫. প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরুতে একটি Start bit এবং শেষে একটি অথবা দুটি Stop bit প্রেরণ করা হয়। এ ধরনের ডেটা ট্রান্সমিশনকে স্টার্ট/ স্টপ ট্রান্সমিশনও বলা হয়।
৬. স্যাটেলাইট বা মাইক্রোওয়েভের ক্ষেত্রে ট্রান্সমিশন বন্ধ থাকলে খরচ বেড়ে যায়।

এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধাসমূহ (Advantages of Asynchronous Transmission)
১. যেকোনো সময় প্রেরক ডেটা স্থানন্তর করতে পারে এবং গ্রাহক তা গ্রহণ করতে পারে।
২. ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোনো প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।
৩. কম ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী।
৪. তুলনামূলকভাবে খরচ কম।

এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of Asynchronous Transmission)
১. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় এর দক্ষতা কম।
২. ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি কম।
৩. যখন ডেটা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ থাকে তখন ট্রান্সমিশন মাধ্যমটি অকারণে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে।
৪. স্যাটেলাইট বা মাইক্রোওয়েভের ক্ষেত্রে ট্রান্সমিশন বন্ধ থাকলে খরচ বেড়ে যায়।

এসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহার (Application of Asynchronous Transmission)
১. কম্পিউটার হতে প্রিন্টারে ডেটা স্থানন্তরে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
২. কীবোর্ড হতে কম্পিউটারে ডেটা স্থানন্তরে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

৮) সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি ? এর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, অসুবিধা ও ব্যবহার নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Synchronous Transmission): যে ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনে প্রথমে ডেটাকে কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষণ করে নেয়ার পর ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। প্রতিটি ব্লকে (যাকে প্যাকেটও বলা হয়) কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২ টি ক্যারেক্টার থাকে। দুটি ব্লকের মাঝখানের সময় বিরতি সমান সময় হয়ে থাকে এবং প্রতিটি ব্লক ডেটার শুরুতে একটি হেডার (Header) ইনফরমেশন ও শেষে একটি ট্রেইলর (Tailer) ইনফরমেশন পাঠানো হয়। 
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Synchronous Transmission);
১. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা তুলনামূলকভাবে বেশি।
২. ট্রান্সমিশনের গতি অনেক বেশি।
৩. প্রতিটি ক্যারেক্টারের মাঝে টাইম ইন্টারভেল বা বিরতির প্রয়োজন হয় না।
৪. প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরুতে একটি Start bit এবং শেষে Stop bit প্রয়োজন হয় না।
৫. প্রেরক স্টেশনে প্রাইমারি স্টোরেজের প্রয়োজন হয়।
৬. তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধাসমূহ (Advantages of Synchronous Transmission)
১. সিনক্রোনাস  ট্রান্সমিশনের দক্ষতা (Efficiency) এসিনক্রোনাস এর তুলনায় বেশি।
২. যেহেতু ট্রান্সমিশন কার্য অনবরত চলতে থাকে ফলে তার ট্রান্সমিশন গতি বেশি।
৩. প্রতি ক্যারেক্টারের পর টাইম ইন্টারভেল এর প্রয়োজন হয় না এবং প্রতি ক্যারেক্টারের শুরু এবং শেষে Start এবং
Stop bit এর প্রয়োজন হয় না।
৪. সময় তুলনামূলকভাবে কম লাগে।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of Synchronous Transmission)
১. প্রেরক স্টেশনে একটি প্রাথমিক সংরক্ষণ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।
২. এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহার (Application of Synchronous Transmission)
১. কম্পিউটার হতে কম্পিউটারে ডেটা কমিউনিকেশনে সিনμোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
২. একস্থান থেকে দূরবর্তী কোনো স্থানে ডেটা স্থানান্তরে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
৩. এক কম্পিউটার হতে একই সময়ে অনেকগুলো কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে এটি একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি।

৯) আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন কি ? 
আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Isochronous Transmission): আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন প্রায় সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের মতোই। তবে আরও উন্নত ভার্সন। আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপক স্টেশনের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশন ডিলে (Delay) সর্বনিম্ম রাখা হয়। দুটি ব্লকের মধ্যে ডেটা ট্রান্সফারের সময় প্রায় ০ একক করার চেষ্টা করা হয়।

১০) অ্যাসিনক্রোনাস ও সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। [ঢা-১৩, কু-০৭, চ-১০, য-০৫, রা-০৮,১০, সি-০৬, ব-১০]
অ্যাসিনক্রোনাস সিনক্রোনাস
১) অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতিতে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা গ্রাহক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয়। অন্যদিকে,  সিনক্রোনাস এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং তারপর ডেটার ক্যারেক্টারসমুহকে ব্লক আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়। 
২) অ্যাসিনক্রোনাস এ অতিরিক্ত বিট ব্যবহার করা হয বলে এই ট্রান্সমিশনের দক্ষতা কম। অন্যদিকে, সিনক্রোনাস এর দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর চেয়ে বেশী। 
৩) অ্যাসিনক্রোনাস এ ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি কম।অন্যদিকে, সিনক্রোনাস এ ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি অনেক দ্রুত হয়। 
৪) অ্যাসিনক্রোনাস এর ক্ষেত্রে প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রায়োজন হয় না। অন্যদিকে, সিনক্রোনাস এর ক্ষেত্রে প্রেরকর  প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রায়োজন হয়। 
৫) অ্যাসিনক্রোনাস এর ক্ষেত্রে ইন্সটলেশন খরচ কম। অন্যদিকে, সিনক্রোনাস এর ক্ষেত্রে ইন্সটলেশন খরচ তুলনামূলক ব্যয়বহুল। 
৬) অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ট্রান্সমিট সময় বেশী লাগে। অন্যদিকে, সিনক্রোনাস  এই পদ্ধতিতে ট্রান্সমিট সময় কম লাগে। 

১১) মাইক্রোওয়েভ কি ? মাইক্রোওয়েভ ডাটা কমিউনিকেশন পদ্ধতি বর্ণনা কর। 
মাইক্রোওয়েভ (Microwave): তার বা ক্যাবল ছাড়া ডেটা আদান-প্রদানের পদ্ধতি হচ্ছে মাইক্রোওয়েভ। মাইক্রোওয়েভ এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ যা সেকেন্ডে প্রায় ১ গিগা বা তার চেয়ে বেশিবার কম্পন বিশিষ্ট। কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে মাইক্রোওয়েভের সাহায্যে প্রেরক ও গ্রাহক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। মাইক্রোওয়েভ সংযোগ ব্যবহার করে ডেটা, ছবি, শব্দ স্থানান্তর করা সম্ভব। মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো ট্রান্সসিভার (Transceiver) নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট (Transmit) এবং অন্যটি রিসিভ (Receive) করার কাজে ব্যবহৃত হয়। মাইক্রোওয়েভ এর ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ হচ্ছে 300 MHz-30GHz.  মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা বড় কোনো ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিμম করতে পারে এবং পথে কোনো বস্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
মাইক্রোওয়েভ এর বৈশিষ্ট্য:
ক. মাইক্রোওয়েভ বাঁকা পথে চলতে পারে না।
খ. মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম মূলত দুটো ট্রান্সসিভার নিয়ে গঠিত। এর একটি সিগন্যাল ট্রান্সমিট (ঞৎধহংসরঃ) এবং অন্যটি রিসিভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
গ. মাইক্রোওয়েভ মাধ্যমে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে কোনো বাধা থাকলে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
ঘ. মাইক্রোওয়েভের এন্টিনা বড় কোনো ভবন বা টাওয়ারের উপর বসানো হয় যাতে সিগন্যাল বেশি দূরত্ব অতিক্করম করতে পারে।
মাইক্রোওয়েভ দুধরনের। যথা:
১. টেরেস্ট্রিয়াল (Terrestrial) মাইক্রোওয়েভ
২. স্যাটেলাইট (Satellite) মাইক্রোওয়েভ
১. টেরেস্ট্রিয়াল (Terrestrial) মাইক্রোওয়েভ: এ ধরনের প্রযুক্তিতে ভূ-পৃষ্ঠেই ট্রান্সমিটার ও রিসিভার বসানো হয়। এতে মেগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি সীমার নিচের দিকে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সমিটার ও রিসিভার দৃষ্টিরেখায় যোগাযোগ করে থাকে এবং সিগন্যাল কোনো μমেই মধ্যবর্তী কোনো বাধা (যেমন- উচ্চ ভবন) অতিক্রম করতে পারে না বা বক্রপথ অতিক্রম করে না।
২. স্যাটেলাইট (Satellite) মাইক্রোওয়েভ: সাধারণত কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট বলতে একটি বস্তু অন্য আরেকটি বস্তুকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করাকে বুঝায়। যেমন- চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট হচ্ছে পৃথিবীর চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে এমন স্থানে রকেট দ্বারা স্থাপিত বিশেষ ধরনের তারবিহীন রিসিভার/ ট্রান্সমিটার। বর্তমানে শত শত স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হচ্ছে।একটি মাত্র স্যাটেলাইট ব্যবহার করে একই সময়ে অনেকগুলো দেশের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়।

১২) ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম/পদ্ধতি কি ? ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর। [য-১৩]
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম (Wireless Communication System): ওয়্যারলেস শব্দের অর্থ হলো তারবিহীন। কোনো প্রকার তার ব্যবহার না করেই তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ করার পদ্ধতিকে ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন কখনও কম দূরত্বে আবার কখনও হাজার হাজার মাইল দূরত্বে হতে পারে। অধিক দূরবর্তী স্থানে যেখানে স্বাভাবিক তার ব্যবহার করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না সেখানে ওয়্যারলেস পদ্ধতিতে সহজে যোগাযোগ করা যায়। এর সাহায্যে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বিভিন্নভাবে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের প্রয়োজনীয়তা:  বর্তমান বিশ্বে বিভিন্œ ক্ষেত্রে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি প্রয়োজন হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ক্ষেত্র হচ্ছে:
১) সিকিউরিটি সিস্টেম: বিভিন্ন অফিস-আদালত বা বাসা বাড়ির নিরাপত্তার জন্য ওয়্যারলেস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
২) টেলিভিশন রিমোট কন্ট্রোল: বর্তমানে টেলিভিশনগুলোর ওয়্যারলেস রিমোট কন্ট্রোল প্রয়োজন হয়।
৩) সেলুলার টেলিফোন: বর্তমানে সেলুলার টেলিফোন ও মডেমসমূহে ওয়্যারলেস প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। রেডিও ওয়েব ব্যবহার করে সেলুলার টেলিফোন পরিচালনা করা হয়।
৪) ওয়াই-ফাই: ওয়াই-ফাই হলো স্বল্প পরিসরের একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক যা বহনযোগ্য কম্পিউটিং ডিভাইসগুলোকে (যেমন- ল্যাপটপ, মোবাইল) খুব সহজেই ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করতে পারে।
৫) ওয়্যারলেস এনার্জি ট্রান্সফার: এটি সম্পূর্ণ তারবিহীন। ওয়্যারলেস এনার্জি ট্রান্সফার এর সাহায্যে বৈদ্যুতিক শক্তি একটি শক্তি উৎস হতে একটি বৈদ্যুতিক লোডে ট্রান্সমিট হয়।
৬) কম্পিউটার ইন্টারফেস ডিভাইস: বর্তমানে কম্পিউটার ডিভাইস যেমন- কী-বোর্ড, মাউস ওয়্যারলেস সুবিধা পাওয়া যায়। বর্তমানে কম্পিউটার ডিভাইসগুলোতে ব্লুটুথ প্রযুক্তির সুবিধা পাওয়া যায়। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তিতে ওয়াইফাই ডিভাইসসমূহ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

১৩) অপটিক্যাল ফাইবার কি ? অপটিক্যাল ফাইবারের বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধাগুলো আলোচনা কর। [ঢা-০১,কু-০২,০৮,রা-০৮,১০,য-০৬,১০,ব-০৩,০৬,০৯,১১,১৩,সি-০৪, ০৬, ০৮,চ-০৪,০৭,১০]
অপটিক্যাল ফাইবার (Optical Fiber): অপটিক্যাল ফাইবার হলো কাঁচ অথবা প্লাস্টিকের তৈরি এক ধরনের ডাই ইলেকট্রিক (অন্তরক) পদার্থ, যা আলো পরিবহনে সক্ষম। অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্য দিয়ে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে অতি দ্রুত ডেটা প্রেরণ করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। বর্তমানে যেসব অপটিক্যাল ফাইবার পাওয়া যায় তার ডেটা ট্রান্সমিশন হার 100 mbps থেকে 2 gbps ।
অপটিক্যাল ফাইবার তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। যথা:
১. কোর: সবচেয়ে ভেতরের অংশ হচ্ছে কোর (Core) যা কাঁচ বা প্লাস্টিকের তৈরি। আলোক রশ্মি সঞ্চালন করে ভেতরের কোর। কোরের ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইμোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২. ক্ল্যাডিং: কোরের ঠিক বাইরের স্তরটি হচ্ছে ক্ল্যাডিং (Cladding)। ক্ল্যাডিং কাঁচ বা প্লাস্টিকের তৈরি যা কোর থেকে নির্গত আলোক রশ্মি প্রতিফলন করে তা পুনরায় ফেরত পাঠায়।
৩. জ্যাকেট: বাইরের অংশটি হলো জ্যাকেট যা ক্ল্যাডিং এর আবরণ হিসেবে কাজ করে।
অপটিক্যাল ফাইবারের বৈশিষ্ট্য : ফাইবার তৈরিতে অন্তরক পদার্থ হিসেবে সিলিকা ও মাল্টি কমপোনেন্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে নেটওয়ার্ক ব্যাকবোনের মাধ্যম হিসেবে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য নিম¥রূপ-
১) অত্যধিক উচ্চ গতিতে ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে।
২) এটি ইলেক্ট্রিক্যাল সিগনালের পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে।
৩) অতি স্বচ্ছতা।
৪) রাসায়নিক সুস্থিরতা বা নিষ্ক্রিয়তা
৫) তে আলোকের পূর্ণ আভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে।
৬) শক্তির অপচয় রোধ।
৭) সহজ প্রক্রিয়াকরণ যোগ্যতা।
৮) নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন হিসেবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল অধিক ব্যবহৃত হয়।
অপটিক্যাল ফাইবারের সুবিধাসমূহ
বিভিন্নব ধরনের সুবিধার জন্য অপটিক্যাল ফাইবার আজ তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় μমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলো হলো-
১) আয়তনে ছোট, ওজনে হালকা ও সহজে পরিবহনযোগ্য।
২) সহজে প্রক্রিয়াকরণ করা যায়।
৩) শক্তির অপচয় কম।
৪) বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত।
৫) ডেটা আদান-প্রদান নির্ভুল।
৬) পরিবেশের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
৭) ডেটা সংরক্ষণের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সবচেয়ে বেশি।
৮) বর্তমানে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে আলোকসজ্জা, সেন্সর ও ছবি সম্পাদনের কাজ করা হয়।
অপটিক্যাল ফাইবারের অসুবিধাসমূহ
১) ফাইবার অপটিক ক্যাবলকে ট আকারে বাঁকানো যায় না।
২) অপটিক্যাল ফাইবার অত্যন্ত দামি।
৩) অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ইনস্টল করা অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে তুলনামূলক কঠিন।

১৪) ব্লু টুথ কি ? এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার আলোচনা কর। [দি-১৩]
ব্লু টুথ (Bluetooth): ব্লুট্রুথু হচ্ছে তারবিহীন স্বল্প দূরত্বে ডেটা অদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত একটি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে একটি পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) সৃষ্টি হয় যেখানে উচুঁ মানের নিরাপত্তা বজায় থাকে। এর দূরত্ব সাধারণত ১০ থেকে ১০০ মিটার হয়ে থাকে। ১৯৯৪ সালে টেলিকম ভেন্ডর এরিকসন ব্লু টুথ উদ্ভাবন করে। দশম শতাব্দির ডেনমার্কের রাজা হারাল্ড ব্লু টুথ এর নাম অনুসারে এ প্রযুক্তিটির নাম রাখা হয়েছে ব্লু টুথ। বর্তমানে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ট্যাব, পিডিএ, স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার, মেডিক্যাল ডিভাইস এবং বাসাবাড়ির বিনোদন ক্ষেত্রের অনেক ডিভাইসে ব্লু টুথ প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করতে এখন আর ক্যাবল সংযোগের প্রয়োজন পড়ছে না। বহনযোগ্য ও ভ্রাম্যমাণ যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে এধরনের যোগাযোগ সহজ হয়। এর ডেটা ট্রান্সফার রেট প্রায় ১ মেগাবিট/সেকেন্ড বা তারচেয়ে বেশি।
ব্ল টুথের বৈশিষ্ট্য Characteristics of Bluetooth)
১. স্বল্প দূরত্বে দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরে ব্লু টুথ  রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে।
২. ব্লু টুথ  ২.৪ গিগাহার্টজ  ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে।
৩. ১০-১০০ মিটারের মধ্যে অবস্থানকারী ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
৪. ব্লু টুথ  একটি পিকো-নেট এর আওতায় সর্বোচ্চ ৮ টি যন্ত্রের সাথে সিগন্যাল আদান-প্রদান করতে পারে।
৫. মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ভিডিও গেম কনসোলগুলোকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করতে এবং তথ্য বিনিময় করতে ব্লু টুথ  একটি নিরাপদ উপায়ে সরবরাহ করে থাকে।
৬. ব্লু টুথ  ব্যবহারকারীর মধ্যস্থতা ছাড়াই অটো কনফিগার করতে পারে।
ব্লু টুথ এর ব্যবহার (Application of Bluetooth)
১. ফোনের সাথে হ্যান্ডস ফ্রি হেডসেটের সংযোগ সাউন্ড বা ভয়েস ডেটা স্থানান্তরে ব্লু টুথ  ব্যবহৃত হয়।
২. ফোন থেকে কম্পিউটারের ফাইল স্থানান্তরে এ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
৩. ব্লু টুথ ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে অন্যান্য ডিভাইসের সংযোগ ঘটানো যায় এবং তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
৪. পিসির ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসগুলোর সাথে তারবিহীন যোগাযোগে ব্লু টুথ ব্যবহৃত হয়।
৫. জিপিএস রিসিভার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, বারকোড স্ক্যানার ও ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইসগুলোতে ব্লু টুথ  ব্যবহৃত হয়।
৬. ডেডিকেটেড টেলিহেলথ ডিভাইসগুলোতে হেলথ সেন্সর ডেটাগুলোর শর্ট রেঞ্জ ট্রান্সমিশনে ব্লু টুথ  ব্যবহৃত হয়।
৭. প্রায়ই ইনফ্রারেড ব্যবহৃত হয় এমন স্থানে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্লু টুথ  ব্যবহৃত হয়।

১৫) ওয়াই-ফাই কি ? এর বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধাসমুহ বর্ণনা কর। [দি-১৩,ব-১৩]
ওয়াই-ফাই (Wi-Fi): Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ওয়াই-ফাই হলো স্বল্পপাল্লার জনপ্রিয় একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি।  বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলোকে তারবিহীন উপায়ে সংযুক্ত করার একটি কৌশল হলো ওয়াই-ফাই। এর এরিয়া একটি কক্ষ, একটি ভবন কিংবা কয়েক কি.মি. এলাকা জুড়ে হতে পারে। সাধারণত ইনডোরের ক্ষেত্রে এ দূরত্ব ৩২ মিটার এবং আউটডোরের ক্ষেত্রে ৯৫ মিটারের মতো হয়ে থাকে। ওয়াই-ফাই এনাবল্ড কোনো ডিভাইস যেমন- একটি পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেম কনসোল, স্মার্টফোন কিংবা ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার প্রভৃতি একটি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অ্যাকসেস পয়েন্টের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারে।
ওয়াই-ফাই এর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Wi-Fi)
1) এটি IEEE 802.11 স্ট্যান্ডার্ডের ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN)
2) Wi-Fi  প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়।
3) ওয়াই-ফাই এর কভারেজ সীমিত পরিসর থেকে নিয়ে বি¯ৃতত পরিসরে পাওয়া সম্ভব।
4) Wi-Fi প্রযুক্তির সাহায্যে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করা যায়।
5) কভারেজ এরিয়া সাধারণত ইনডোরের ক্ষেত্রে ৩২ মিটার এবং আউটডোরের ক্ষেত্রে ৯৫ মিটারের মতো হয়ে থাকে।
6) নেটওয়ার্কে সহজে নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করে নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়ানো যায়।
7) একাধিক অ্যাক্সেস পয়েন্টের জন্য নেটওয়ার্ক রোমিং সুবিধা রয়েছে।
8) 802.11b 802.11gস্ট্যান্ডার্ডের জন্য ফ্রিকুয়েন্সি হোপিং সুবিধা প্রদান করে।
ওয়াই-ফাই এর সুবিধা (Advantages of Wi-Fi)
1) Wi-Fi প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই সাথে একাধিক কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়।
2) নেটওয়ার্কের জন্য কোনো লাইসেন্স বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না।
3) নেটওয়ার্কে সহজে নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করে নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়ানো যায়।
4) বাধামুক্ত সিগন্যাল ট্রান্সফারের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যানμিপশন সুবিধা দিয়ে থাকে।
5) একাধিক অ্যাক্সেস পয়েন্টের জন্য নেটওয়ার্ক রোমিং সুবিধা রয়েছে।
5) 802.11b   এবং  802.11g স্ট্যান্ডার্ডের জন্য ফ্রিকুয়েন্সি হোপিং সুবিধা প্রদান করে।
6) ওয়াই-ফাই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
ওয়াই-ফাই এর অসুবিধা (Disadvantages of Wi-Fi)
1) Wi-Fi নেটওয়ার্কের সীমানা নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে।
2) নেটওয়ার্কের দক্ষতা ও গতি তুলনামূলকভাবে কম।
3) বিদ্যুৎ খরচ অন্যান্য স্ট্যান্ডার্ডের তুলনায় বেশি।
4) অন্যান্য ডিভাইস কর্তৃক সিগন্যালে জ্যাম বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
5) ডেটা ও নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে যায়।
6) দূরত্ব বেশি হলে নেটওয়ার্কের গতি ও সিগন্যালের গুণগত মান উল্লেখযোগ্যহারে কমে যেতে পারে।
7) অজ্ঞাত বা অনুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক অ্যাক্সেস পয়েন্ট ব্যবহারের ঝুঁকি থাকে।

১৬) ওয়াই ম্যাক্স কি ? এর সুবিধা ও অসুবিধাসমুহ আলোচনা কর।
WiMAX: WiMAXএর পূর্ণরূপ হচ্ছে Worldwide Interoperability for Microwave Access। ওয়াইম্যাক্স (WiMAX)  হলো দীর্ঘপাল্লার জনপ্রিয় একটি তারবিহীন নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি। এ প্রটোকলের ডেটা ট্রান্সমিশন রেট ৭০ মেগাবিট/ সেকেন্ড। একটি WiMAX বেস স্টেশন সাধারণত ১০ কিমি হতে শুরু করে ৬০ কিমি পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সুবিধা দিয়ে থাকে। ওয়াইম্যাক্স নামটি দিয়েছে ওয়াইম্যাক্স ফোরাম যা গঠিত হয়েছিল ২০০১ সালের জুনে।
ওয়াইম্যাক্সের প্রকারভেদ: ওয়াইম্যাক্স দুধরনের হতে পারে। যথা:
১. ফিক্সড ওয়াইম্যাক্স এবং ২. মোবাইল ওয়াইম্যাক্স।
১. ফিক্সড ওয়াইম্যাক্স: ফিক্সড ওয়াইম্যাক্সে মূল্যসাশ্রয়ী পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট এবং পয়েন্ট-টু-মাল্টিপয়েন্ট সল্যুশন পাওয়া যায়।
২. মোবাইল ওয়াইম্যাক্স: মোবাইল ওয়াইম্যাক্সে যেকোনো ধরনের টেলিযোগাযোগকে মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার উপযোগী করে। মোবাইল ওয়াইম্যাক্স ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে সেলফোনের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে আরও বিশাল পরিসরে ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়।
ওয়াইম্যাক্স এর সুবিধা (Advantages of WiMAX)
১. কভারেজ এরিয়া সাধারণত ১০ কিমি হতে শুরু করে ৬০ কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২. একক একটি স্টেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট সেবা দেয়া যায়।
৩. ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড লাইসেন্স বা লাইসেন্সবিহীন উভয়ই হতে পারে।
৪. প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেবা পাওয়া যায়; এমনকি যেখানে ফোনের সংযোগ পৌঁছেনি সেখানেও।
৫. কোয়ালিটি অব সার্ভিসের নিশ্চয়তা দেয়।
৬. তথ্য ও টেলিযোগাযোগ সেবাগুলো প্রদান করা যায়।
৭. এন্টিনাসহ WiMAX রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে।
ওয়াইম্যাক্স এর অসুবিধা (Disadvantages of WiMAX)
১. দূরত্ব বেশি হলে একাধিক বেজ স্টেশনের প্রয়োজন হয়।
২. নেটওয়ার্কের অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস সিগন্যালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. সংস্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
৪. অনেক ব্যবহারকারী একই টাওয়ার অ্যাক্সেস করায় সার্ভিসের সঠিক গুণগত মান বজায় রাখা অনেকক্ষেত্রে কঠিন।
৫. অন্যান্য নেটওয়ার্ক যেমন- ফাইবার অপটিক, স্যাটেলাইট, ক্যাবল ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে ওয়াইম্যাক্স এর ডেটা রেট অত্যন্ত ধীরগতির।
৬. খারাপ আবহাওয়া যেমন বৃষ্টির কারণে এর সিগন্যালে বিঘœ ঘটতে পারে।
৭. বেশি বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহারকারী প্রযুক্তি যার ফলে সার্বিক নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়।

১৭) ওয়াই-ফাই এবং ওয়াইম্যাক্স এর মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। 
১)  একটি স্বল্পপাল্লার ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। অন্যদিকে, ওয়াইম্যাক্স একটি দীর্ঘপাল্লার ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। 
২) ওয়াই-ফাই এর কভারেজ ঘরের ভিতরে ৩২ মিটার এবং বাইরে ১০০ মিটার। অন্যদিকে, ওয়াইম্যাক্স এর কভারেজ প্রায় ৫০ কি.মি এলাকা জুড়ে। 
৩) ওয়াই-ফাই এর ক্ষেত্রে হাফ-ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে,ওয়াইম্যাক্স এর ক্ষেত্রে ফুল-ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহার করা হয়। 
৪) ওয়াই-ফাই এর গতি কম। প্রায় 10Ñ50 Mbps. অন্যদিকে,ওয়াইম্যাক্স এর গতি অতি দ্রুত। প্রায় 75 Mbps থেকে 1 Gbps.
৫) Wi-Fi  নেটওর্য়াকে খরচ কম।  অন্যদিকে, Wi-MAX  নেটওর্য়াকে খরচ বেশী।
৬) Wi-Fi শব্দটি Wireless Fidelity শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। অন্যদিকে, WiMAX শব্দটি Worldwide Interoperability for Microwave Access  শব্দের সংক্ষিপ্ত রুপ।

১৮) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি ? কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ব্যবহার/উদ্দেশ্য আলোচনা কর। [চ-০৭,১৩, রা-০৭,০৯,য-০৭,দি-০৯,১৩,সি-০৯,১৩,ব-১৩]
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক: বর্তমান বিশ্বের যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রসার হচ্ছে কম্পিউটার প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ব্যবহার। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে নিজেদের কাজের সুবিধার্থে নিজস্ব কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে বুঝায় দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থা। অর্থাৎ বিভিন্ন কম্পিউটার কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা একসঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে বলে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সুবিধা হলো অনেকগুলো কম্পিউটার পরস্পর যুক্ত থাকায় দু-একটি খারাপ হয়ে গেলেও সব কাজ বন্ধ হয়ে যায় না, ভালোগুলো দিয়ে সে কাজ করিয়ে নেয়া যায়।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ব্যবহার/উদ্দেশ্য (Use of Computer Network)
১. ফাইল বা তথ্য বিনিময় 
২. হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং 
৩. সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং 
৪. তথ্য সংরক্ষণ 
৫. তথ্য সুরক্ষা 
৬. বার্তা বা মেসেজ আদান-প্রদান

১৯) কম্পিউটার নেটওর্য়ার্ক কি ? কম্পিউটার নেটওর্য়াকের কাজ বর্ণনা কর। 
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক: বর্তমান বিশ্বের যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রসার হচ্ছে কম্পিউটার প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ব্যবহার। বর্তমানে বিভিনড়ব ধরনের প্রতিষ্ঠানে নিজেদের কাজের সুবিধার্থে নিজস্ব কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ক্সতরি করছে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে বুঝায় দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থা। অর্থাৎ বিভিন্ন কম্পিউটার কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা একসঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে বলে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সুবিধা হলো অনেকগুলো কম্পিউটার পরস্পর যুক্ত থাকায় দু-একটি খারাপ হয়ে গেলেও সব কাজ বন্ধ হয়ে যায় না, ভালোগুলো দিয়ে সে কাজ করিয়ে নেয়া যায়।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কাজ
১. কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাহায্যে খুব সহজে বিশ্বের একস্থান হতে অন্যস্থানে ডাটা বা সংবাদ পাঠানো যায়। এতে সময়ের অপচয় কম হয় এবং খরচও কম লাগে।
২. প্রয়োজনে তথ্যসমূহ সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং সময়মতো গ্রাহকের নিকট পাঠানো যায়।
৩. কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাহায্যে ঘরে বসে দূর-দূরান্তের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা যায়।
৪. ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়েই যেকোনো ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং প্রশড়ব- উত্তরের মাধ্যমে শিক্ষকের কাছ থেকে যেকোনো সমস্যার সমাধান নিতে পারে।
৫. ঘরে বসে ক্রেতা কেনা-কাটা করতে পারেন।
৬. ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে বুলেটিন বোর্ড গঠন করা যায়।
৭. ই-মেইল প্রেরণ বা গ্রহণ করা যায়।

২০) বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার নেটওর্য়াক সর্ম্পকে আলোচনা কর। 
আকার ও বিস্তৃতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে প্রধানত চারভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১. পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা প্যান (Personal Area Network-PAN)
২. লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান (Local Area Network-LAN)
৩. মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ম্যান (Metropolitan Area Network-MAN)
৪. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ওয়ান (Wide Area Network-WAN)

১. পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা প্যান (Personal Area Network-PAN) : প্যান (PAN) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Personal Area Network। কোনো ব্যক্তির নিকটবর্তী বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য আদান-প্রদানের নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে প্যান (PAN) বলে। প্যান ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে অথবা হায়ার লেভেল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের সাথে যোগাযোগের জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। প্যান এর বিস্তৃতি সাধারণত ১০ মিটার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্যান (PAN) এ ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডিভাইস হচ্ছে ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি।

প্যান এর বৈশিষ্ট্যাবলি (Characteristics of PAN)
১. পার্সোনাল কম্পিউটার ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
২. ব্যাপ্তি সাধারণত কয়েক মিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
৩. কম্পিউটার বাসসমূহ যেমন- ইউএসবি বা ফায়ারওয়্যার এর মাধ্যমে তার দ্বারা যুক্ত থাকতে পারে।
৪. ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি দ্বারা একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব।

২. লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান (Local Area Network-LAN): LAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Local Area Network। লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান স্বল্প পরিসরের জায়গার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ১০ কি.মি. বা তার কম পরিসরের জায়গার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে LAN বলে। বেশির ভাগ LAN  পাশাপাশি অবস্থিত দুই বা তিনটি বিল্ডিং এর মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়, কোনো বড় অফিস বিল্ডিংয়ে ব্যবহার করা হয়। LAN  এর টপোলজি সাধারণত স্টার, রিং কিংবা ব্রডকাস্ট চ্যানেল মেথড হয়ে থাকে।
লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্যাবলি
১. সীমিত দূরত্বের মধ্যে এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ।
২. সিরিজ (শ্রেণি) সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো সংযুক্ত হয়।
৩. উপাত্ত স্থানান্তরের হার সাধারণত ১০ মেগাবিট/সেঃ থেকে ১০০০ মেগাবিট / সেঃ।
৪. এ নেটওয়ার্ক স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি সহজ ও খরচ কম।

৩. মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ম্যান (Metropolitan Are Network-MAN)
MAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Metropolitan Area Network। একই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটার এবং ডিভাইস নিয়ে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয় তাকে MAN বলে। এটি LAN এর থেকে বড় Area এর নেটওয়ার্ক। যার ট্রান্সমিশন মিডিয়া হিসেবে সাধারণত টেলিফোন লাইন, মডেম বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হয়। এর দূরত্ব সাধারণত কোনো শহরভিত্তিক হয়ে থাকে। মাল্টিপাল রাউটার, সুইচ এবং হাব দ্বারা MAN গঠিত। সাধারণত কোনো ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখা অফিসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এধরনের নেটওয়ার্ক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

৪. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ওয়ান (Wide Area Network –WAN) : WAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Wide Area Network। যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অনেক বড় ভৌগোলিক অবস্থান জুড়ে থাকে তাকে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা দ্বারা একটি দেশের বা দেশের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন শহরে অবস্থিত LAN বা  MAN বা অন্য কোনো কম্পিউটার ডিভাইসও এ নেটওয়ার্কের সংযুক্ত থাকতে পারে। কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদগণ ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা পৃথিবীকে একসূত্রে গ্রথিত করেছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় WAN এর উদাহরণ হলো ইন্টারনেট।
ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের সুবিধা 
১. বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত উপাত্ত, পত্র-পত্রিকা, বই, চলচ্চিত্র প্রভৃতি সংগ্রহ ও ব্যবহার করা যায়।
২. স্বল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বের একস্থান থেকে অন্যস্থানে ডেটা এবং সংবাদ পাঠানো যায়।
৩. ইলেকট্রনিক মেইল প্রক্রিয়ায় বিশ্বের যেকোনো স্থানে চিঠিপত্র প্রেরণ করা যায়।
৪. রোগী ঘরে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারবেন।
৫. ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে বুলেটিন বোর্ড গঠন করা যায়।
৬. অনলাইন শপিং করা যায়।
৭. সমগ্র নেটওয়ার্ক-বিশ্বকে টেবিলে বসে প্রত্যক্ষ করা যায়।
৮. ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে না গিয়েও অন লাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে।

২১) নেটওর্য়াক টপোলজি কী ? নেটওর্য়াক টপোলজির বর্ণনা দাও। [ঢা-০৩,০৭,১০, কু-০২,০৪,০৬,০৮,১০,য-০১,০৩,০৬, ০৮,১০,চ-০২,০৪, ০৭, ১০, রা-০১,০৯,১১,ব-০৬,০৮,১০, সি-০৬,১১,দি-০৯,১১]***
নেটওয়ার্ক টপোলজি: বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগের জন্য যে জ্যামিতিক সন্নিবেশ করা হয় তাকে টপোলজি (Topology) বলে। অর্থাৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের সংযোগ ব্যবস্থাকেই Topology বলে। নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে তারের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। তবে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোকে তার দিয়ে যুক্ত করলেই হয় না। তারের ভিতর দিয়ে নির্বিঘ্নে ডেটা যাওয়া-আসার জন্য যুক্তিনির্ভর সুনিয়ন্ত্রিত একটি পথের প্রয়োজন। নেটওয়ার্কের কম্পিউটারগুলোকে তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করার নকশা এবং সংযোগকারী তারের ভিতর দিয়ে ডেটা যাওয়া-আসার জন্য যুক্তি নির্ভর পথের যে পরিকল্পনা এ দুয়ের সমন্বিত ধারণাকে বলা হয় নেটওয়ার্ক টপোলজি।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত নি¤ড়বলিখিত সংগঠন ব্যবহার করা যায়−
ক. স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজি (Star Network Topology)
খ. রিং নেটওয়ার্ক টপোলজি (Ring Network Topology)
গ. বাস নেটওয়ার্ক টপোলজি (Bus Network Topology)
ঘ. ট্রি নেটওয়ার্ক টপোলজি (Tree Network Topology)
ঙ. মেশ টপোলজি (Mesh Topology) বা পরস্পরের সংযুক্ত নেটওয়ার্ক
চ. হাইব্রিড নেটওয়ার্ক টপোলজি (Hybrid Network Topology)

ক. স্টার নেটওয়ার্ক টপোলজি (Star Network Topology) : স্টার টপোলজি নেটওয়ার্কে সবগুলো কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় কম্পিউটার (জাংশন) থেকে সংযোগ দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় কম্পিউটার (জাংশন) হিসাবে যে কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় হাব (Hub)। স্টার নেটওয়ার্কে প্রত্যেকটি কম্পিউটার একটি হাব (Hub) বা সুইচের (Switch) মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত থাকে। মাইক্রোকম্পিউটারগুলো হাবের মাধ্যমে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে ও ডেটা আদান প্রদান করে। কোনো কারণে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারটি কর্মদক্ষতা হারালে নেটওয়ার্কটি কর্মদক্ষতা হারায়। কেননা কেন্দ্রীয় কম্পিউটার ছাড়া কম্পিউটার ও যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে কোনো সংযোগ থাকে না।

খ. রিং নেটওয়ার্ক টপোলজি (Ring Network Topology) : রিং টপোলোজি নেটওয়ার্কে সবগুলো কম্পিউটারকে ক্যাবলের মাধ্যমে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যে একটি রিং বা লুপের সৃষ্টি হয়। এ টপোলজিতে কোনো শুর” বা শেষ প্রান্ত সীমা খুঁজে পাওয়া যায় না। রিং নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলো নোড (কম্পিউটার যে বিন্দুতে যুক্ত থাকে তাকে নোড বলে) এর মাধ্যমে বৃত্তাকার পথে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। রিং টপোলজি নেটওয়ার্কে কম্পিউটারগুলোকে সরাসরি পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে না বিধায় নেটওয়ার্কের কোনো কম্পিউটার অন্য যেকোনো কম্পিউটারে সরাসরি সংকেত পাঠাতে পারে না। সংকেতটি প্রেরক কম্পিউটার ও গ্রাহক কম্পিউটারের মধ্যবর্তী অন্যসব কম্পিউটারের ভেতর দিয়ে যেয়ে তবেই গ্রাহক কম্পিউটারে পৌঁছে। 

গ. বাস নেটওয়ার্ক টপোলজি (Bus Network Topology)
যে ট্রপোলজিতে একটি মূল তারের সাথে সবকয়টি ওয়ার্কস্টেশন বা কম্পিউটার সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি (Bus Topology) বলা হয়। বাস টপোলজির প্রধান ক্যাবলটিকে বলা হয় ব্যাকবোন (Backbone)। বাস নেটওয়ার্ক সংগঠনে একটি সংযোগ লাইনের সাথে সবগুলো নোড যুক্ত থাকে। সংযোগ লাইনকে সাধারণত বাস বলা হয়। একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটার নোডের সংযোগ লাইনের মাধ্যমে সংকেত পাঠায়। অন্যান্য কম্পিউটারগুলো তাদের নোডে সেই সংকেত পরীক্ষা করে এবং কেবলমাত্র প্রাপক নোড সেই সংকেত গ্রহণ করে।

ঘ. ট্রি নেটওয়ার্ক (Tree Network) : মূলত স্টার টপোলজির সম্প্রসারিত রূপই হলো ট্রি টপোলজি। এ টপোলজিতে একাধিক হাব (HUB) ব্যবহার করে সমস্ত কম্পিউটারকে একটি বিশেষ স্থানে সংযুক্ত করা হয় যাকে বলে রুট (Root)। যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মতো বিন্যস্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলা হয়। এ টপোলজিতে এক বা একাধিক স্তরের কম্পিউটার হোস্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে। অর্থাৎ প্রম স্তরের কম্পিউটারগুলো দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়। একইভাবে দ্বিতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলো তৃতীয় স্তরের কম্পিউটারগুলোর হোস্ট হয়।

ঙ. মেস বা পরস্পর সংযুক্ত নেটওয়ার্ক (Mesh Network) : এ টপোলজি নেটওয়ার্ক প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশনের সাথে আলাদা আলাদা লিংক বা বাস থাকে। তাই প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন সরাসরি যেকোনো ওয়ার্কস্টেশনের সাথে ডেটা আদানপ্রদান করতে পারে। মেস টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনস্থ প্রত্যেক কম্পিউটার প্রত্যেক কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। যদি কোনো সময় যোগাযোগের একটি পথ নষ্ট হয় তবে বিকল্প আরেকটি পথ থাকে যোগাযোগের জন্য। চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, যেকোনো একটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারগুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।

২২) LAN ও MAN এর মধ্যে কি কি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় আলোচনা কর। 
১. LAN এর পুরো অর্থ হলো Local Area Network.  অন্যদিকে, MAN এর পুরো অর্থ হলো Metropolitan Area Network.
২. LAN এর ক্ষেত্রে সাধারণত একটি নিদির্ষ্ট ভবন বা ক্যাম্পাসে একদল কম্পিউটার নেটওর্য়াকভুক্ত হয়। অন্যদিকে, MAN হলো কতগুলো ল্যান এর সমন্বয় যা একটি পুরো শহর বা বড় আকারের কোন এলাকাব্রাপী বিস্তৃত।
৩.  এর মালিকানা সাধারণত কোনো একক ব্যক্তি বা কিছু সংখ্যক লোকের একটি গ্রুপের হতে পারে। অন্যদিকে, MAN এর মালিকারা সাধারণত কোনো অর্গানাইজেশনের হয়ে থাকে। 
৪. LAN এর গতি কম। অন্যদিকে, LAN ্এর চাইতে MAN ্এর গতি বেশী।

২৩) লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের পার্থক্যসমুহ আলোচনা কর। 
১. ল্যানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সর্বোচ্চ দুরত্বের একটি সুনির্দিষ্ট সীমা থাকে। অন্যদিকে, ওয়ান হচ্ছে কতকগুলো ল্যানের বৃহত্তম নেটওয়ার্ক যারা বিভিন্ন ভৌগোলিক দুরত্বে অবস্থিত বিধায় দুরত্বের কোন সীমা থাকে না।
২. বাসা বা অফিসে হাব বা সুইচের সাহায্যে সংযুক্ত একাধিক কম্পিউটার ল্যানের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যদিকে, ইন্টারনেট ওয়ানের একটি উদাহরণ।
৩. সাধারণত ফাইল, ফোল্ডার, প্রিন্টার জাতীয় রিসোর্স শেয়ার করার জন্য ল্যান তৈরি করা হয়। অন্যদিকে, বড় আকারের ডকুমেন্ট আদান-প্রদান, ইন্টারনেট, ই-মেইল ইত্যাদি সুবিধা সৃষ্টি করা হয়। 
৪. ল্যানের সাথে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কোন সংযোগ নেই। অন্যদিকে, ওয়ানের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সিস্টেম।
৫. ল্যানে কখনো মডেম ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে,ওয়ান প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের মডেম ব্যবহার হয়।
৬. ল্যানের ডেটা ট্রান্সমিশন ওয়ানের তুলনায় অনেক বেশি।অন্যদিকে,ওয়ানের ডেটা ট্রান্সমিশন ল্যানের তুলনায় অনেক কম।

২৪) মডেম কি ? মডেমের ব্যবহার লিখ।[ঢা-০২,০৩,০৪,০৬,০৯,১১,১৩, কু-০৭,০৯,১৩, রা-০৬, ০৮, চ - ০২,০৪,০৬,০৯,১১,১৩, য-০৪,০৬,০৮,১০,১৩,ব-০৪,০৮,১০,সি-০৬,০৮,১০,দি-১০]
মডেম (Modem): মডেম হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস যা কম্পিউটারের তথ্যকে আরেক কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়। মডেম শব্দটি Modulator ও Demodulator  সংক্ষিপ্তরূপ। Modulator শব্দের ‘Mo’ এবং Demodulator শব্দের ‘Dem’ নিয়ে ‘Modem’ শব্দটি গঠিত হয়েছে। নেটওয়ার্কিংয়ে তথ্যাবলি আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে মডেম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সংযোগ পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে মডেমকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. ইন্টারনাল মডেম (Internal Modem)
২. এক্সটারনাল মডেম (External Modem)
ইন্টারনাল মডেম (Internal Modem): ইন্টারনাল মডেম মূলত একটি কার্ড বিশেষ। এ কার্ড পিসির মাদারবোর্ডের এক্সপানশান স্পটে লাগানো থাকে।
এক্সটারনাল মডেম (External Modem): যে মডেম ক্যাবলের সাহায্যে কম্পিউটারের কমিউনিকেশন পোর্টের সাথে বাইরের দিক থেকে সংযুক্ত করা হয় তাকে এক্সটারনাল মডেম বলে।
মডেমের কাজ
Modulator এর কাজ হচ্ছে ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করা এবং Demodulator এর কাজ হচ্ছে অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করা। প্রেরক কম্পিউটারের সাথে যুক্ত মডেম কম্পিউটারের ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তর করে টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা গ্রাহকের নিকট ডেটা বা তথ্য প্রেরণ করে। এভাবে টেলিফোন লাইনের উপযোগী করে ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে মডুলেশন (Modulation) বলে। গ্রাহক কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত মডেম সেই অ্যানালগ সিগন্যালকে আবার ডিজিটাল সিগন্যালে পরিণত করে তা কম্পিউটারের ব্যবহারোপযোগী করে। এভাবে টেলিফোন লাইন থেকে প্রাপ্ত অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ডিমডুলেশন (Demodulation) বলে।

২৫) মোবাইলের বিভিন্ন প্রজন্ম নিয়ে আলোচনা কর। 
মোবাইল টেলিফোন সিস্টেমের বিভিন্ন প্রজন্ম :বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন একটি অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্র হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। ১৯৪০ সালের দিকে যুক্তরাষ্টে সর্বপ্রম মোবাইল ফোন সার্ভিস চালু হয়। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালের শুর”তে ইউরোপে মোবাইল সার্ভিস চালু হয়। ১৯৭৩ সালে সাধারণত মানুষের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুর” হয়। মোবাইল ফোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও উনড়বয়নের এক একটি পর্যায় বা ধাপকে মোবাইল ফোনের প্রজন্ম বলে। মোবাইল ফোন প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতি ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোন আবিষ্কারের শুর” থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চারটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়েছে। যথা:
১. প্রথম প্রজন্ম (First Generation-1G)
২. দ্বিতীয় প্রজন্ম (Second Generation- 2G)
৩. তৃতীয় প্রজন্ম (Third Generation-3G)
৪. চতুর্থ প্রজন্ম (Fourth Generation-4G)

১. প্রথম প্রজন্ম (First Generation-1G) :প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনগুলো ছিল সেলুলার নেটওয়ার্ক নির্ভর এবং অ্যানালগ সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে সেনাবাহিনীর বাহিরে নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে সাধারণত মানুষের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুর” হয়। সে জন্য ১৯৭৯ সালকে ১ম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের সূচনা কাল বলা হয়। ১৯৭৯ সালে এশিয়ার সর্ববৃহৎ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পা নি জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) সেলুলার টেলিফোন উৎপাদন শুরু করে।

২. দ্বিতীয় প্রজন্ম (Second Generation- 2G) : প্রথম প্রজন্মের অ্যানালগ সিস্টেমের মোবাইল ফোনের পরিবর্তে দ্বিতীয় প্রজন্মের ডিজিটাল মোবাইল নেটওয়ার্ক সিস্টেম চালু হয়। ১৯৯০ সালে ইউরোপে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সর্বপ্রম ব্যবহৃত হয়। ট্রান্সমিশন কোয়ালিটি, সিস্টেম ক্যাপাসিটি এবং বিশাল এলাকা জুড়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেম চালু করা হয়। ভয়েসকে Noise মুক্ত করার মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রজন্ম মোবাইল ফোনের আবির্ভাব ঘটে। এটি ভয়েস ট্রান্সমিট করে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে।

৩. তৃতীয় প্রজন্ম (Third Generation-3G) : দ্বিতীয় প্রজন্ম থেকে তৃতীয় প্রজন্মের প্রধান প্রযুক্তিগত পার্থক্য হচ্ছে সার্কিট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের পরিবর্তে তৃতীয় প্রজন্মে প্যাকেট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার। ২০০১ সালের মে মাসে জাপানের টোকিও এলাকায় NTT ডোকোমো চালু করে প্রথম অ-বাণিজ্যিক ও পরীক্ষামূলক 3G নেটওয়ার্ক। এ প্রজন্মেই আধুনিক মোবাইল টেকনোলজি HSPA (High Speed Packet Access) এর বাস্তবায়ন করা হয়। W-CDMA  পদ্ধতি বর্তমানে UMTS (Universal Mobile Telecommunication System) নামে পরিচিত। তৃতীয় প্রজন্মে উচ্চ গতির ডেটা ট্রান্সফার ও মাল্টিমিডিয়া ডেটা ব্যবহারসহ CDMA ও GPRS (General Packet Radio Service)  স্ট্যান্ডার্ডের ব্যাপক উনড়বতি সাধিত হয়। ফলে সর্বাধিক ডেটা ট্রান্সফারের মোবাইল টেকনোলজি EDGE (Enhanced Data rates for GSM Evolution) চালু হয়।

৪. চতুর্থ প্রজন্ম (Fourth Generation-4G) : আগামি দিনের মোবাইল ফোন সিস্টেম হলো চর্তু প্রজন্মের মোবাইল ফোন সিস্টেম। এ প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিংয়ের পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার। ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহারের ফলে মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম (IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব হবে। চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন সিস্টেমে আলট্রা-ব্রডব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। দ্র”ত চলনশীল ডিভাইসের ক্ষেত্রে এর ডেটা স্থানান্তর গতি ১০০ মেগাবিট/সেকেন্ড এবং স্থির ডিভাইসের ক্ষেত্রে এর ডেটা স্থানান্তর গতি ১ গেগাবিট/ সেকেন্ড। উদাহরণস্বরূপ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য মোবাইল ডিভাইসের সাথে ইউএসবি ওয়্যারলেস মডেম।

২৬) হাব কি ? হাব সর্ম্পকে আলোচনা কর। 
হাব (Hub): হাব হলো নেটওয়ার্কের ডিভাইসসমূহের জন্য একটি সাধারণ কানেকশন পয়েন্ট। দুয়ের অধিক পোর্ট যুক্ত রিপিটারকে হাব বলে। হাবের মাধ্যমে কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে। কম্পিউটারের সংযোগ সংখ্যার উপর হাবের ক্ষমতা নির্ভর করে। ল্যানের সেগমেন্টগুলো কানেক্ট করার জন্য সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়। হাবের মধ্যে অনেকগুলো পোর্ট থাকে। ডেটা প্যাকেট একটি পোর্টে আসলে এটি অন্য পোর্টে কপি হয় যাতে সব সেগমেন্ট সব প্যাকেটসমূহ দেখতে পারে। স্টার টপোলজির ক্ষেত্রে হাব হচ্ছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকারী ডিভাইস।
কার্যকারিতার দিক থেকে হাব প্রধানত দুপ্রকার। যথা-
১. সক্রিয় হাব (Active Hub)
২. নিস্ক্রিয় হাব (Passive Hub)

সক্রিয় হাব (Active Hub) :এধরনের হাব সংকেতের মানকে বৃদ্ধি করে এবং মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় সংকেত বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় সংকেত প্রেরণ করে। অধিক ক্ষমতাযুক্ত এ ধরনের হাবকে অনেক সময় Intelligent Hub ও বলা হয়।

২. নিস্ক্রিয় হাব (Passive Hub) :
এধরনের হাব কম্পিউটারসমূহের মধ্যে কেবলমাত্র তথ্য আদান-প্রদান করে। এটি সংকেতের মান বৃদ্ধি করে না। এ কারণে এসব হাবকে কোনো এ্যাকটিভ ডিভাইসের সাথে যুক্ত করে দেয়া হয়।

হাবের সুবিধা (Advantages of Hub)
১. দাম কম।
২. বিভিন্ন মিডিয়ামকে সংযুক্ত করতে পারে।

হাবের অসুবিধা (Disadvantages of Hub)
১. নেটওয়ার্ক ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
২. ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে।
৩. ডেটা ফিল্টারিং সম্ভব হয় না।

২৭) সুইচ কি ? সুইচের সুবিধা ও অসুবিধাসমুহ আলোচনা কর। 
সুইচ (Switch): সুইচ একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা নেটওয়ার্কের মধ্যে সার্ভার, ওয়ার্কস্টেশন এবং বিভিন্ন পেরিফেরিয়াল ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ প্রদানকারী প্রধান ডিভাইস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাবের সাথে সুইচের পার্থক্য হলো সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব ঐ ডেটা সিগন্যাল প্রাপক কম্পিউটারের সবগুলো পোর্টেই পাঠায়।
সুইচের সুবিধা (Advantages of Switch)
১. ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা কমায়।
২. ভার্চুয়াল LAN ব্যবহার করে ব্রডকাস্ট নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সুইচের অসুবিধা (Disadvantages of Switch)
১. হাবের তুলনায় মূল্য কিছুটা বেশি।
২. ডেটা ফিল্টারিং সম্ভব নয়।
৩. কনফিগারেশন তুলনামূলকভাবে জটিল।

২৮) হাব ও সুইচের মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। 
১. হাব এর ক্ষেত্রে ডেটা সিগন্যাল প্রাপক কম্পিউটারের সবগুলো পোর্টে পাঠায়। অন্রদিকে, সুইচের ক্ষেত্রে প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠায়।
২. হাব এর ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে। অন্রদিকে, সুইচের ক্ষেত্রে সময় কম লাগে।
৩. হাব এর মুল্য কম। অন্রদিকে, সুইচের তুলনামুলকভাবে মুল্য বেশি। 
৪. হাব এর ক্ষেত্রে পোর্ট কম লাগে। অন্রদিকে, সুইচের ক্ষেত্রে পোর্ট বেশি লাগে।

২৯) NIC কি ? 
নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড Network Interface Card): NIC  এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Network Interface Card.  কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কভুক্ত করার জন্য যে ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বলে। এ কার্ডকে ল্যান কার্ড বা নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার কার্ডও বলে। এটি ব্যবহারকারীকে একে অপরের সাথে ক্যাবল অথবা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে। এ কার্ড মাদারবোর্ডের বিভিন্ন আকৃতির স্লটের মধ্যে বসানো থাকে। অধিকাংশ NIC কার্ড কম্পিউটারের সাথে বিল্ট-ইন থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কার্ডের উপর নেটওয়ার্কের দক্ষতা ও গতি নির্ভর করে। নেটওয়ার্ক কার্ডের বৈশিষ্ট্য হলো এতে ৪৮ বিটের একটি অদ্বিতীয় কোড বা μমিক নম্বর থাকে; যার ফলে একটি কার্ডের সাথে অপরটির কোনো মিল থাকে না। এই μমিক নম্বরকে ম্যাক (MAC) অ্যাড্রেস বলে। এই ম্যাক অ্যাড্রেস কার্ডের রমে সংরক্ষিত থাকে। নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড পিসি এবং ডেটা কেবলের মধ্যে সিগন্যাল আদান-প্রদানের কাজটি সমন্বয় করে থাকে।
এছাড়াও NIC নিম্মবর্ণিত দায়িত্বগুলো পালন করে থাকে-
১. ডেটা কেবল এবং কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন।
২. ডিজিটাল ডেটা সিগন্যালকে লজিক্যাল আকারে অর্থাৎ ১ ও ০ আকারে ক্যাবলের মধ্য দিয়ে আদানপ্রদান করা।
৩. নেটওয়ার্ক ড্রাইভার থেকে তথ্য গ্রহণ করা এবং ড্রাইভার প্রদত্ত নির্দেশাবলি (Instruction) পালন করা।

Share:

0 comments:

Post a Comment

Translate

Total Pageviews

Search This Blog

Blog Archive

Recent Posts