Educational Blog Sites

Friday, March 9, 2018

Chapter 01 Creative Question

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 

১) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। 
বিশ্বের সব দেশেই এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তরি জয়জয়কার। এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হওয়ার এখন বাংলাদশেে শুধু আনাচে-কানাচে নয় র্সবত্রই বিরাজমান। সাম্প্রাতিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তইি আমাদরে শক্ষিা, ব্যবসা, চকিৎিসা,বনিোদন,ে আমূল পরর্বিতন সাধন করছে।ে র্বতমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সামাজকি যোগাযোগরে অন্যতম মাধ্যমে হসিাবে ব্যবহৃত হচ্ছ।ে ক. বশ্বিগ্রাম বলতে কী বোঝায়? খ. চকিৎিসায় র্ভাচুয়াল রয়িলেটিরি ব্যবহার লখে। গ. কীভাবে শক্ষিায় তথ্য প্রযুক্তি আমূল পরর্বিতন সাধন করছেে বলে তুমি মনে করো? ঘ. ুতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সামাজকি যোগাযোগরে অন্যতম মাধ্যম”- ব্যাখ্যা করো। ১ নং প্রশ্নের উত্তর ক. বশ্বিগ্রাম বা গ্লোবাল ভলিজে হলো এমন একটি সামাজকি বা সাংস্কৃতকি ব্যবস্থা যখোনে পৃথবিীর সকল মানুষই একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলকেট্রনকি মডিয়িা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহাররের মাধ্যমে তারা তাদরে চন্তিা চতেনা, অভজ্ঞিতা, সংস্কৃত-িকৃষ্টি ইত্যাদি শয়োর করতে পারে ও একে অপরকে সবো প্রদান করতে পার।ে খ. চকিৎিসা ক্ষত্রেে র্ভাচুয়াল রয়িলেটিরি মাধ্যমে বভিন্নি ধরনরে থরোপি দয়ো হয়। তাছাড়া অপারশেনরে সময় রােগীর অবস্থা র্পযবক্ষেণে বভিন্নি ধরণরে র্ভাচুয়াল রয়িলেটিি ব্যবহৃত হচ্ছ।ে আধুনকি চকিৎিসায় রোগ নর্ণিয়ওে র্ভাচুয়াল রয়িলেটিি ব্যবহার করা হয়। গ. মাল্টমিডিয়িার সাহায্যে বভিন্নি বষিয়ে চত্রি ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীদরে সহজে উপস্থাপন করা যায়। ইন্টারঅ্যাক্টভি শক্ষিামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজইে শশিুদরে বভিন্নি বষিয়ে শক্ষিা দান করার যায়। শক্ষিামূলক বভিন্নি বষিয় নয়িে অসংখ্য সডিি করা হচ্ছ।ে এতে শক্সিার বষিয়গুলোকে আর্কষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়। ই-র্লানংি-এর মাধ্যমে বশ্বিরে বভিন্নি শক্ষিা প্রতষ্ঠিান থকেে শক্ষিা বা জ্ঞান র্অজন করতে পারছ।ে এমনকি এক দশের কোন প্রতষ্ঠিান থকেে অন্য দশেরে কোন শক্ষর্িাথী অনলাইনে পরীক্ষা দয়িে ডগ্রিি র্অজন করা যায়। র্বতমান বশ্বিে অনলাইন বা ইন্টারনটেভত্তিকি শক্ষিা ব্যবস্থা চালু হয়ছে।ে এতে শক্ষর্িাথী ঘরে বসইে বভ্নিি বষিয়ে ইন্টারনটেে জ্ঞান র্অজনরে পাশাপাশি শক্ষিা প্রতষ্ঠিান ও শক্ষিকরে সাথে আলোচনা করতে পার।ে বভিন্নি দশেরে বা স্থানরে ছাত্র-ছাত্রীরা নজিদেরে মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করে কোনো বষিয়ে সম্যক ধারণা লাভ করতে পার।ে আর অনলাইন পরীক্ষায় সারা বশ্বিে একই সাথে একই প্রশ্নে বভিন্নি দশেরে শক্ষর্িাথীরা অংশ গ্রহন করে থাক।ে ই-লাইব্ররেি ব্যবহার করে বশ্বিরে যকেোনো বই থকেে শক্ষর্িাথীরার ঘরে বসইে পড়াশোনা করতে পারছ।ে ঘ. সামাজকি যোগাযোগরে জন্য ইন্টারনটেরে মাধ্যমে বভিন্নি ধরনরে সাই যথা- ফসেবুক, মাইস্পসে, ইউটউিব, অরকুট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পার।ে এসব সাইটরে মাধ্যমে বন্ধুত্ব তরৈরি পাশাপাশি ছব,ি ভডিওি ইত্যাদি আপলোড-ডাউনলোড করে বন্ধুদরে সাথে শয়োর করা যায়। আজকাল ইন্টারনটেে টভিি ও রডেওি চালু হওয়ায় স্ট্রমিংি অডওি-ভডিওি প্রযুক্তরি মাধ্যমে দূর-দূরান্তে বসওে টভিি ছাড়াই কম্পউিটারে টভিি দখো যায়। মোবাইল ফোন, কম্পউিটার ইত্যাদি ব্যবহার করে চ্যাটংি করে সরাসরি নজিরে আবগে, অনুভূতি শয়োর করা যায়। অনকে সময় ইন্টারনটে থকেে নজিরে পছন্দমতো সনিমো ডাউনলোড করে দখো যায়। স্কাইপরি মাধ্যমে সহজইে কম্পউিটারে বসে দূর-দূরান্তে অবস্থতি ঘনষ্ঠি স্বজনদরে সাথে ভডিওিসহ যোগাযোগ করতে পারছ।ে ২) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। বাংলাদশেি বংশোদ্ভুত আমরেকিা প্রবাসী সালমান খানরে একটি জনপ্রয়ি অনলাইনভত্তিকি শক্ষিামূলক সাইট হলো িি.িশযধহধপধফবসু.ড়ৎম। নজিস্ব ওয়বেসাইট ও ইউটউিবরে মাধ্যমে ৩১০০-এর বশেি বভিন্নি বষিয়রে ওপর ভডিওি টউিটোরয়িাল নর্মিাণ করে খান একাডমে।ি এ একাডমেরি শক্ষর্িাথীরা সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। অনলাইনভত্তিকি ব্যবস্থায় শক্ষর্িাথীরা ঘরে বসইে শক্ষিা পতেে পার।ে ক. ই-এডুকশেন কী? খ. একটি ডজিটিাল ক্লাস তরৈি করার জন্য কী কী দরকার? গ. খান একাডমেীর ওয়বেসাইটটরি মতো বাংলায় এ রকম একটি সাইট তরৈি করার জন্য কী কী করার দরকার বশ্লিষেণ করো। ঘ .শক্ষিাক্ষত্রেে তথ্য প্রযুক্তরি ব্যবহাররে সুফল সর্ম্পকে তোমার নজিস্ব মতামত ব্যক্ত করো। ২ নং প্রশ্নের উত্তর ক. ইন্টারনটে বা অলাইনরে মাধ্যমে শক্ষিাদান পদ্ধতকিে ই-এডুকশেন বল।ে খ. ক্লাসরুমে ইন্টারনটে ও অন্যান্য আইসটিনির্ভির যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে ‘ডজিটিাল ক্লাস’ তরৈি করার যায়। ক্লাসরুমে ছব,ি অডওি-ভডিওি এনমিশেন ইত্যাদি ব্যবহাররে মাধ্যমে শক্ষিাকে আর আর্কষণীয় করা যায়। ক্লাসে ইন্টারনটেরে ব্যবহার সহজলভ্য করা এবং শক্ষিাদান প্রক্রয়িায় ডজিটিাল প্রযুক্তরি ব্যবহার একটি ক্লাসকে অনকে র্কাযকর করে তোল।ে ই-বুক, প্রজক্টের প্রভৃতরি ব্যবহার ডজিটিাল ক্লাসে ব্যবহার করতে হব।ে গ. খান একাডমেীর ওয়বেসাইটটরি মতো বাংলায় একটি ওয়বেসাইট চালু করতে হলে আমাদরে আগে খান একাডমেি সর্ম্পকে জানতে হব।ে খান একাডমেী একটি শক্ষিমূলক ওয়বেসাইট যটেি অনলাইনভত্তিকি শক্ষিার্কাযক্রম পরচিালতি কর।ে একাডমেরি ওয়বেসাইটে বভিন্নি বষিয়রে ওপর ৩১০০টরি বশেি ভডিওি টউিটোরয়িাল আছ।ে বষিয়গুলোর মধ্যে আছে বীজগণতি, পাটগিণতি, ইতহিাস, ব্যাংকংি পর্দাথবজ্ঞিানসহ বভিন্নি প্রতযিোগতিামূলক পরীক্ষা, ভনেচার ক্যাপটিাল, ক্রডেকি ক্রাইসসিরে ওপর নানা বষিয়ে অসংখ্য ভডিওি থকেে খুব সহজইে যকেোনো সময় বনিা পয়সায় এ স্তরে ওয়বে সাইটটি ব্রাউজ করে তাদরে প্রয়োজনীয় তথ্য জনেে নতিে পার।ে খান একাডমেীর ভডিওি টউিটোলয়িালগুলো ইউটউিবরে সাথওে সংযুক্ত করা থাক।ে খান একাডমেরি ভডিওিগুলো বাংলা ভাষায় তরৈি করে আমরা আমাদরে তরৈকিৃত ওয়বেসাইটে সংযোগজন করতে পার।ি ফলে বাংলাদশেরে শক্ষর্িাথীরা তাদরে মাতৃভাষায় শক্ষিা লাভ করতে পারবনে। র্অথাৎ খান একাডমেরি মতো বাংলায় একটি ওয়বেসাইট গড়ে তুলতে চাই তাহলে আমাদরে উপরোক্ত বশৈষ্ট্যিগুলো বজায় রখেে ওয়বেসাইট গড়ে তুলতে হব।ে ঘ. শক্ষিাক্ষত্রেে তথ্যপ্রযুক্তি এক অপার সম্ভাবনাময় জগৎ উন্মুক্ত করে দয়িছে।ে প্রাথমকি শ্রণেগিুলোতে র্কাটুন চত্রিরে মাধ্যমে র্বণ পরচিয়, গল্পরে মাধ্যমে শক্ষিাদান, উচ্চারণ শখো, প্রশ্নোত্তররে মাধ্যমে শক্ষিা ইত্যাদি প্রক্রয়িায় কম্পউিটার ব্যবহার করা হয় ।ডজিটিাল কনটন্টে -এর সাহায্যে স্থরি ও চলমান চত্রিরে সাহায্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূভাবে বভিন্নি সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করা যায়। প্রতটিি বভিাগরে প্রতটিি ক্লাসরে শক্ষিক ও ছাত্ররে উপস্থতিি র্পযবক্ষেণ করা, র্কমচারী র্কমর্কতাদরে কাজ বন্টন করা, ক্লাস রুটনি ও পরীক্ষার রুটনি ইত্যাদি তরৈতিে কম্পউিটার ব্যবহার করা হয়। বভিন্নি ধরণরে জটলি জটলি বষিয়রে সমাধান ইন্টারনটেরে মাধ্যমে অতি সহজইে সংগ্রহ করা হয়ে থাক।ে একটি শক্ষিাপ্রতষ্ঠিানরে যাবতীয় তথ্যাবলি কম্পউিটাররে স্মৃততিে মজুদ রাখা হয়। পরর্বতীতে প্রয়োজন অনুযায়ী স্মৃতি থকেে এ সমস্ত তথ্যাদি গ্রহণ করা হয়ে থাক।ে নর্ব্যৈক্তকি বষিয়রে উত্তরপত্র কম্পউিটার সংযুক্ত ঙগজ ডজিাইনরে মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় এবং প্রাপ্ত নম্বর থকেে ফলাফল তরৈি করে তা ডটোবজে-এ সংরক্ষণ করা হয়। লাইব্ররেি ম্যানজেমন্টেওে কম্পউিটাররে সাহায্যে করা যায়। তাছাড়া অনলাইনে পৃথবিীর বখ্যিাত বখ্যিাত লাইব্ররেি থকেে বই সংগ্রহ করা যায়। ই-ক্লাসরুমরে মাধ্যমে শক্ষর্িাথীরা নানা দশেরে শক্ষিকরে কাছ থকেে শক্ষিা গ্রহণ করতে পার।ে ৩) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। একটি বড় প্রতষ্ঠিান তাদরে প্রতষ্ঠিানে প্রবশে নয়িন্ত্রণ করার জন্য একটি বায়োমট্রেক্সি একসসি কন্ট্রোল সস্টিমে ব্যবস্থা করছেে ।প্রধান গটে ফঙ্গিারপ্রন্টি সন্সের লাগানো আছ।ে প্রতষ্ঠিানটি বধৈ কউে গটেরে বশিষে বাটন আঙুল দয়িে চাপ দলিে ফঙ্গিারপ্রন্টি তরৈী হয়ে তা কম্পউিটারে যাবে এবং কম্পউিটার রক্ষতি ফঙ্গিারপ্রন্টিরে সাথে মলিয়িে যদি মলি পায় তাহলে কম্পউিটারে সাথী ইন্টারফসে করা গটেটি খুলে যাব।ে (ক) বায়োমট্রেক্সি কী? (খ) বায়োমট্রেক্সি সস্টিমেে শনাক্তকরণ (রফবহঃরভরপধঃরড়হ) এ কী ধরনরে বায়োলজক্যিাল ডটো ববিচেনা করা হয়? (গ) বায়োমট্রেক্সি সস্টিমে বাস্তবায়ন করার জন্য কী করা প্রয়োজন? (ঘ) নরিাপত্তার জন্য বায়োমট্রেক্সি সস্টিমে অনকে সুবধিা- বশ্লিষেণ কর । ৩ নং প্রশ্নের উত্তর (ক) প্রত্যকে মানুষ অন্য মানুষ অপক্ষো কমপক্ষে একটি বশিষে বশৈষ্টি আলাদা। আর এই বশৈষ্ট্যিসমূহ ব্যবস্থা করে একটি মানুষকে চহ্নিতি করার নামই হলো বায়োমট্রেক্সি। (খ) বায়োমট্রেক্সি পদ্ধততিে মানুষরে বায়োলজক্যিাল ডটো কম্পউিটারে ডটোবজেে সংরক্ষতি করে রাখা হয় এবং পরর্বতীতে এসব ডটো নয়িে স্বয়ংক্রয়িভাবে মলিয়িে দখো হয়। ডটো মলি পলেে বধৈ বলে ববিচেতি হয় এবং অনুমতি প্রাপ্ত হয়। বায়োমট্রেক্সি সস্টিমে শনাক্তকরণ (রহফবঃভরপধঃরড়হ) এ যসেব বায়োলজক্যিা ডটো ববিচেনা করা হয় তা হলো- ১.মুখ বা চহোরার বশৈষ্ট্যি বশ্লিষেণ করা; ২. প্রত্যকেরে আলাদা একক বশৈষ্ট্যির্পূন হাতরে ছাপ বশ্লিষেণ করা; ৩. হাতরে গঠন এবং আঙুলরে দর্ঘ্যৈরে মাপ বশ্লিষেণ করা; ৪. চোখরে মণরি চারপাশ বষ্টেতি রঙনি বলয় বশ্লিষেণ করা ; ৫. চোখরে পছিনরে অক্ষপিটরে মাপ বশ্লিষেণ করা; ৬. হাতরে দস্তাখত বশ্লিষেণ করা; ৭. হাতরে এবং কব্জরি শরিার র্প্যান্টান বশ্লিষেন করা; ৮. প্রত্যকেরে কন্ঠরে ধ্বনরি বশৈষ্ট্যি, সুররে উচ্চতা, সুররে র্মূছনা, স্পন্দনরে দ্রুততা ইত্যাদি বশ্লিষেণ করা। (গ) বায়োমট্রেক্সি হচ্ছে একটি বজ্ঞিান কৌশল যা মানুষরে চরত্রি ব্যবহারকে শনাক্ত কর।ে এটি কম্পউিটার বজ্ঞিানে শনাক্তকরণরে এবং প্রবশোধীকার নয়িন্ত্রনরে কাজে ব্যবহুত হয়। এটাই সইে সাথে কোনো নজরধারীর অধানন গ্রুপকে চহিৃিত করতে ব্যবহৃত হয়। যহেতেু বায়োমট্রেক্সি ব্যক্তকিে শনাক্ত কর।ে তাই এটি সাধারণ টোকনেভত্তিকি উপায়কে সহজ করে দয়ে। এটি টোকন ও অন্যান্য পদ্ধতরি চয়েে সঠকি ও নর্ভিরযোগ্য হয় কারণ এটি প্রত্যকে ব্যক্তকিে আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পার।ে বায়োমট্রেক্সি সস্টিমে বাস্তবায়ন করা জন্য ফঙ্গিারপ্রন্টি, ফইেস রকিোগানশিন, হ্যান্ড জওিমট্রি,ি আইরসি এবং রটেনিা স্ক্যান, ভয়সে রকিগনশিন, সগিনচোর ভরেফিকিশেন ইত্যাদি পদ্ধতি স্ক্যান করা যায়। একটি বায়োমট্রেকি ডভিাইস কোন ব্যক্তরি ব্যক্তগিত বশৈষ্টিগুলোকে ডজিটিাল কোডে রূপান্তর করইে কোডকে কম্পউিটারে সংরক্ষতি কোডরে সাথে নতুন কর।ে যদি ব্যবহারকারী ব্যক্তগিত কোড কম্পউিটারে সংরক্ষতি কোডরে সাথে মলিে যায় তবে তাকে ডভিাইস ব্যবহাররে অনুমতি দয়ে বা তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এই সস্টিমেে শনাক্তকরণরে জন্য একজন ব্যক্তরি অনকেগুলো বশৈষ্ট্যিরে তুলনা বা পরীক্ষা করা প্রয়োজন হতে পার।ে তাই র্সবপ্রথম বায়োমট্রেক্সি পদ্ধততিে সকল ব্যবহারকারীর বশৈষ্ট্যি যা বায়োমট্রেকি উৎপাদনরে সাথে সম্পৃক্ত তা একটি কন্দ্রেীয় ডটোবজে সংরক্ষন করতে হয়। (ঘ) নরিাপত্তা জন্য বায়োমট্রেক্সি সস্টিমে অনকে সুবধিা। কারণ একটি বড় প্রতষ্ঠিানরে গটেে ফঙ্গিারপ্রন্টি সন্সের লাগানো আছ।ে প্রতষ্ঠিানটতিে কারা কারা ঢুকতে পারবে আগে থকেইে তাদরে ফঙ্গিারপ্রন্টি নয়িে কম্পউিটারে বশিষে নরিাপত্তার সফটওয়্যাররে ডটোবজে সংরক্ষতি করে রাখা আছ।ে গটেে আগত প্রবশেকারী তার আঙুল দয়িে ফঙ্গিারপ্রন্টিরে সন্সেররে বশিষে অংশ চাপ দবি।ে ফঙ্গিারপ্রন্টি তরৈি হয়ে তা কম্পউিটারে যাবে এবং কম্পউিটার রক্ষতি ফঙ্গিারপ্রন্টিরে সাথে মলিয়িে দখেব।ে যদি মলি পায় তাহলে ওকে সগিন্যাল আসব।ে কম্পউিটাররে সাথে ইন্টারফসে করা গটে খুলে যাব।ে আর যদি না মলিে তাহলে গটে বন্ধ থাকব।ে এখানে ফঙ্গিারপ্রন্টি হলো একটি বায়োলজক্যিাল ডটো। ফঙ্গিারপ্রন্টি বা আঙুলরে ছাপ হলে ইউনকি আইডনেটটিি । একজনরে আঙুলরে ছাপরে সাথে আরকেজনরে আঙুলরে ছাপ মলিবে না। এখানে আঙুলরে ছাপরে ব্যবহার করে কম্পউিটার সফটওয়্যার নর্ভির যে নরিাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়ছেে তাই হলো বায়োমট্রেক্সি পদ্ধত।ি এ পদ্ধততিে ফঙ্গিারপ্রন্টি অপটক্যিাল স্ক্যানাররে মাধ্যমেে আঙুলরে চাপরে ইমজে নওেয়া হয়। ইনপুটকৃত ইমজেরে র্অথাৎ আঙুলরে ছাপরে বশিষে কছিু একক বশৈষ্ট্যিকে ফলিটার করা হয় এবং এনক্রপ্টিডে বায়োমট্রেকি কী (শবু) হসিবেে সংরক্ষণ না করে হয়। ফঙ্গিারপ্রন্টিরে ইমজেকে সংরক্ষণ না করে সংখ্যার সরিজি (বাইনারি কোড) কে বরেফিকিশেনরে জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ফঙ্গিারপ্রন্টি সস্টিমে অ্যালগোরদিম এই বাইনারি কোডকে ইমজেে পুনঃরূপান্তর করতে পারে না। তাই কউে ফঙ্গিারপ্রন্টিকে নকল করতে পারে না। বায়োমট্রেক্সি ডভিাইস, যমেন ফঙ্গিার স্ক্যানংি ডভিাইস এবং সফটওয়্যার যা স্ক্যান করা তথ্যকে ডজিটিাল র্ফমে রূপান্তর করে এবং ম্যাচংি পয়ন্টে গুলো তুলনা কর। এর ফলে কোনো অপরচিতি বা নশ্চিতিকরনে বায়োমট্রেক্সি সস্টিমেরে ভূমকিা অনস্বীর্কায এবং ব্যবহারে সুবধিা অনকে। ৪) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। পলাশ প্রত্যন্ত গ্রামে তার মাকে টাকা পাঠাতে ভোগান্তিতে পড়েন। বিষয়টি বন্ধু শিমুলের সাথে আলোচনা করলে জানায় মানি অর্ডারের মাধ্যমে তার মার কাছে সে টাকা প্রেরণ করে। কিন্তু পলাশ আরও দ্র”ত গতিতে টাকা প্রেরণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে শিমুল অন্য একটি দ্র”ততম পদ্ধতির কথা বলেন যার মাধ্যমে পলাশ তার মাকে টাকা পাঠান। ক. ন্যানোটেকনোলজি কী? খ. রোবটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে ব্যবহৃত পলাশের প্রযুক্তিটিতে ওঈঞ-এর কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে বর্ণনা কর। ঘ. পলাশ ও শিমুলের টাকা পাঠানোর পদ্ধতির তুলনামূলক ছক বিশ্লেষণ কর। ৪ নং প্রশ্নের উত্তর ক. ন্যানোপ্রযুক্তি (ন্যানোটেকনলজি বা সংক্ষেপে ন্যানোটেক) পদার্থকে আণবিক পর্যায়ে পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণ করার বিদ্যা। খ. মানুষের চিন্তা ভাবনার অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাই হলো আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (অৎঃরভরপরধষ ওহঃবষষরমবহপব) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যে চিন্তাভাবনা বা যোগ্যতাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় প্রতিলিপিকরণের চেষ্টা করা হয় তাহলোÑ চিন্তা ও কারণ, সমস্যা সমাধানে কারণগুলোকে ব্যবহার, অভিজ্ঞতা থেকে শেখা বা বুঝা, জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করা, সৃষ্টিশীলতা ও কল্পনাশক্তির প্রদর্শন, জটিল ধাঁধাময় পরিস্থিতিগুলোর সাথে কাজ করা, নতুন পরিস্থিতিগুলোতে দ্রুত ও সাফল্যজনকভাবে সাড়া প্রদান, কোনো পরিস্থিতিতে উপাদানগুলোর সম্পর্কের গুর”ত্বকে শনাক্ত করা, অস্পষ্ট, অসম্পূর্ণ তথ্যকে মোকাবেলা করা। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রোবট বিভিনড়ব প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করার ক্ষমতা লাভ করে। গ. পলাশের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ঊঋঞ)। ইলেকট্রনিক উপায়ে অর্থ স্থানান্তরের পদ্ধতিকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বলা হয়। এ প্রμিয়ায় ইলেক্ট্রনিক উপায়ে ব্যাংকের বিভিনড়ব শাখার হিসাবের মধ্যে প্রকৃত অর্থের লেন-দেন না ঘটিয়ে শুধুমাত্র হিসাবের মাধ্যমে অর্থের পরিমাণের সমন্বয় সাধন ও আধুনীকরণ করা হয়। লেনদেন কার্যে সুবিধা ও নিরাপত্তার নিমিত্তে ব্যাংকগুলো ইদানিং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলনের ব্যবস্থা করেছে যা মোবাইল ব্যাংকিং নামে পরিচিত। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যেকোনো ব্যাংকের গ্রাহক উক্ত ব্যাংকে টাকা জমা বা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন সহজেই করতে পারে। এমনকি নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াই দিন-রাতে যেকোনো সময় অর্থ স্থানান্তর বা লেন-দেন কার্য সম্পাদন করতে পারে। ঘ. পলাশের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার এবং শিমুলের ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো মানি অর্ডার। টাকা প্রেরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং মানি অর্ডারের চেয়ে দ্র”ততর পদ্ধতি। মানি অর্ডার পদ্ধতিতে টাকা প্রেরণে পোস্ট অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিস প্রয়োজন। আর মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময় টাকা প্রেরণ ও উত্তোলন করা যায়। নিচে পলাশ ও শিমুলের টাকা পাঠানোর পদ্ধতির তুলনামূলক ছক তুলে ধরা হলো- মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম মানি অর্ডার সিস্টেম ১। দ্রুতগতি সম্পন্ন ১। ধীরগতি সম্পন্ন ২। দূরত্ব সাপেক্ষ নয় ২। দূরত্ব সাপেক্ষ ৩। যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময়ে পাঠানো যায় ৩। যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময়ে পাঠানো যায় না ৪। খরচ তুলনামƒলক কম ৪। খরচ তুলনামূলক বেশি ৫। অধিক নিরাপদ ব্যবস্থা ৫। নিরাপদ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয় ৫) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। অ্যাথনিা নামক একটি ডপর্িাটমন্টোল স্টোর তাদরে সকল শাখার কম্পউিারগুলোকে নটেওয়াকরে আওতায় এনে ক্রতোগনকে প্রচালতি পদ্ধতরি পাশাপাশি ই-কর্মাস সুবধিা প্রদান করছেনে । ফলে ক্রতোগন ঘরে বসইে যাতায়াত খরচ কময়ি,ে অনলাইনে যাচায় বাচাই করে র্অডার দতিে পারছে এবং ক্রডেটি কাটরে মাধ্যমওে মূল্য পরশিোধ করতে পারছনে। এই পদ্ধতি বাস্তবায়নরে পর উক্ত প্রতষ্ঠিানটি অল্প সময়রে মধ্যে কম সংখ্যা জনবল ব্যবহার করে অধকি সংখ্যক ক্রতোদরে সবো দতিে পারছ।ে তাই ই-কর্মাস ব্যবহাররে ফলে উক্ত প্রতষ্ঠিানরে লাভজনক অবস্থা দখেে অন্যান্য প্রতষ্ঠিানসমূহ এতে আগ্রহী হয়ে উঠছে।ে ক. ই-কর্মাস কী? খ. ই-কর্মাস বক্রিতোগন পন্যরে দাম কম রাখতে পারার কারণ কী? গ. অ্যাথনিা নামক প্রতষ্ঠিানরে ক্রতোগন ই-কর্মাস ব্যবহারে ফলে কী ধরনরে সুবধিা পাচ্ছনে। ঘ. উদ্দীপকরে ব্যবহৃত প্রতষ্ঠিানটি ই-কর্মাস ফলে ই-কর্মাসরে ফলে কী ধরনরে ব্যবসায়কি সুবধিা পাচ্ছ,ে ব্যাখ্যা করো। ৫ নং প্রশ্নের উত্তর ক) আধুনকি ডটো প্রসসেংি সহ এবং কম্পউিটার নটেওর্য়াক বশিষেত ইন্টারনটেরে মাধ্যমে ব্যক্তি বা প্রতষ্ঠিানরে মধ্যে পণ্য বা সবো র্ম্যাকটিংি, বক্রিয়, ডলেভিার,ি ব্যবসা সংক্রান্ত লনেদনে ইত্যাদি করাই হচ্ছে ই-কর্মাস। খ) ই-কর্মাস বক্রিতোগন পন্যরে দাম কম রাখতে পারার কারণ নম্নিরূপ: ১) র্আথকি লনেদনে খরচ কমানো ২) ব্যবসায় পরচিালনায় খরচ কমনো ৩) কনোকাটার খরচ কমানো এবং গতি সঞ্চার করা। গ) অ্যাথকি নামক প্রতষ্ঠিানরে ক্রতোগন ই-কর্মাস ব্যবহাররে ফলে সে ধরনরে সুবধিা তা হলো- ১) কনো কাটায় খরচ কমনো এবং কাজরে গতি সঞ্চার করা হচ্ছ।ে ২) কাজরে সময়ে র্সবোচ্চ ব্যবহারে নশ্চিতি করতে পরছে।ে ৩) দূরত্ব ব্যবধান কমানো এবং ব্যবসায়কি বন্ধন সৃষ্টি করতে পারছ।ে ৪) উন্নতমানরে কাস্টমার র্সাভসিরে সুবধিা পায়ছ।ে ঘ) বগিত দশক ধরে বশ্বি বাণজ্যিে প্রচলতি পদ্ধতরি র্আকষনীয় পরর্বিতন নয়িে এসছেে ই-কর্মাস । শত শত বছর ধরে চলে আসা প্রচলতি ব্যবসা পদ্ধতি ই-কর্মাসরে সাথে প্রতযিোগতিা পছিয়িে যাচ্ছ।ে এর মূলে রয়ছেে ই-কর্মাসরে অচন্তিনীয় সুবধিাদ।ি এসব সুবধিাসমূহ নচিে আলােচনা করা হলো। (১) র্আথকি লনেদনেরে গতশিীলতা বাড়ানো (২) র্আথকি লনেদনেরে খরচ কমানো (৩) ব্যবসা পরচিালনায় খরচ কমানো (৪) কনোকাটায় খরচ কমানো এবং গতরি সঞ্চার করা (৫) কাজরে সময়রে র্সবোচ্চ ব্যবহার নশ্চিতি করা ৬) দূরত্ব ব্যবধান কমানো এবং ব্যবসায়কি বন্ধন সৃষ্টি করা ৭) সুস্পষ্টভাবে ব্যবসা পরচিালনার সুবধিা দয়ো ৮) উন্নতমানরে কাস্টমার র্সাভসিরে সুবধিা দয়ো ৯) ব্যবসা প্রতষ্ঠিানসমূহরে মধ্যে প্রতযিোগতিা বৃদ্ধি করা ১০) নতুন র্কমসংস্থানরে সুযোগ সৃষ্টি করা ১১) বজ্ঞিাপন ও নতুন বপিণন সবধিা ৬) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। কম্পউিটার প্রকৌশলী জনাব জনাব তৌহদিুজ্জামান একটি কলজেরে ডজিটিাল মাল্টমিডিয়িাসহ কম্পউিটার ল্যাব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতথিি হসিবেে আমন্ত্রন পলেনে। অনুষ্ঠানে উপস্থতি ছাত্রদরে উদ্দশ্যেে একটি সংক্ষপ্তি বক্তব্যে তনিি বলনে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানবসভ্যতাকে দারুনভাবে এগয়িে নয়িে চলছে।ে বশিষে করে শক্ষর্িাথীদরে বদ্যিালয়ে আগ্রহ বৃদ্ধতিে এবং অনলাইনে পড়াশুনার ক্ষত্রেে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বভিন্নিভাবে দায়ত্বি পালন করে চলছে।ে কছিু কছিু ক্ষত্রেে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মানুষরে অপকারও করছ।ে তারপর নজিদেরে অস্তত্বি রক্ষা প্রয়ােজনইে আজ আমাদরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শক্ষিা গ্রহণ আবশ্যকি হয়ে পরছে।ে ক. তথ্য ও প্রযুক্তি কী? খ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তরি ব্যবহার বলতে কী বুঝ? গ. জনাব তৌহদিুজ্জামান বক্তব্যে ছাত্রদরে উদ্দশ্যেে কী কী ইঙ্গতি দয়িছেনে তা বর্নণা কর। ঘ. জনাব তৌহদিুজ্জমান কোন শক্ষিাকরে আবশ্যকি হয়ে পরছেে বলে মনে করনে তা কারনসহ বশ্লিষেণ কর। ৬ নং প্রশ্নের উত্তর ক) যে প্রযুক্তি মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ , এর সত্যতা ও বধৈতা যাচাই, সংরক্ষন, প্রক্রয়িাকরণ, আধুনকিরণ ও ব্যবস্থাপনা করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমশেন টকেনোলজি এবং সংক্ষপেে এই প্রযুক্তকিে আইটি (ওঞ) বলা হয়। খ) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহাররে ক্ষত্রে বশিাল। যমেন-তথ্য সংগ্রহ প্রক্রয়িাকরণ, সাধারন টলেফিোন থকেে শুরু করে অত্যাধুনকি সুপার কম্পউিটার, রডেওি টলেভিশিনসহ সকল ধরনরে একমূখী যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনটে ও ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়বে ইত্যাদি ক্ষত্রেগুলোতে ব্যবহৃত হয়। গ) জনাব তৌহদিজ্জামান ছাত্রদরে উদ্দশ্যেে বলনে, এই প্রতষ্ঠিানে থাকবে একটি ডজিটিাল লাইব্ররেি তথা সমস্ত বই থাকবে পডিএিফ ফরমটে।ে শ্রনেকিক্ষে শক্ষর্িাথীদরে প্রতটিি বঞ্চেরে সাথে থাকবে ইন্টারনটে সংযোগসহ কম্পউিটার, ফলে শক্ষর্িাথীদরে বই পুস্তক আনতে হবে না। শক্ষর্িাথীরা এখানে বসে কম্পউিটার ব্যবহার করইে পড়াশুনা করতে পারবে এবং পৃথবিীতে সকল দশেরে শক্ষর্িাথীরা কী শখিছে তা সে ইচ্ছে করলইে দখেতে পারব।ে তারা চাহলিইে যকেোনো দশেে যকেোনো সলিবোসরে পরীক্ষা দয়িে র্সাটফিকিটে র্অজন করতে পারব।ে প্রথমকি শ্রনেগিুলোতে র্কাটুন চত্রিরে মাধ্যমে র্বণ পরচিয়, গুলোর মাধ্যমে শক্ষিাদান, উচ্চারণ শখো, প্রশ্নত্তররে মাধ্যমে শক্ষিা ইত্যাদি প্রক্রয়িায় কম্পউিটার ব্যবহার করে শক্ষিাদান করতে পারব।ে ইমজে, অডওি, ভডিওি, এনমিশেনরে সংমশ্রিণরে ডজিটিাল কনটন্টে তরৈী করে মাল্টমিডিয়িা প্রজক্টেররে মাধ্যমে ক্লাস নতিে পার।ে ফলে এক একটি ক্লাস হবে বশ্বিমানরে এবং ছাত্ররা বাস্তব জ্ঞানরে অধকিারী হব।ে ঘ) জনাব তৌহদিুজ্জামান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শক্ষিাকে আবশ্যকি হয়ে হয়ে পড়বে বলে মনে করনে; কনেনা জীবনরে প্রতমিুর্হূতে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তরি ব্যবহারে অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ছে।ে আজকে যারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্ততিে অজ্ঞ থাকবে তারা ব্যক্তগিত ও রাষ্ট্রীয় বভিন্নি কাজে পছিয়িে পড়ব।ে আজকে যোগাযোগ, র্কমসংস্থান, শক্ষিা, চকিৎিসা, গবষোণা,অফসি,আদালত, ব্যবসা-বাণজ্যি, সংবাদ, বনিোদন ও সামাজকি যোগাযোগ, সাংস্কৃতকি বনিমিয় প্রাত্যহকি জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ, প্রযুক্তরি ব্যবহার হচ্ছ;ে অথচ কউে যদি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সর্ম্পকে জ্ঞান লাভ না করে তাহলে সে যুগরে সাথে তাল মলিয়িে চলতে পারবেে না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্ততিে অজ্ঞতা রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে ডজিটিাল ডভিাইস তরৈী করব।ে ফলে দশে আধুনকি রাষ্ট্র থকেে পছিয়িে পড়ব।ে ৭) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। দৃশ্যকল্প-১ : মিম কানাডায় বসবাস করে। মাঝে মধ্যে মায়ের কথা মনে পড়লে মায়ের সাথে কথা বলে এবং সাথে সাথে মায়ের ছবিও দেখতে পায়। মা মেয়েকে প্রশ্ন করে, ‘এটি কীভাবে সম্ভব?’ ফারজানা ব্যবহৃত প্রযুক্তি μমান্বয়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। দৃশ্যকল্প-২ : কনক কোম্পানির পাঁচজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ, চীন, জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে এক সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছে। ব্যবহৃত প্রμিয়াটি তাদের চাহিদা পূরণে সক্ষম নয়। ক. তথ্য প্রযুক্তি কী? খ. ইন্টারনেটকে বিশ্বগ্রামের মের”দ- বলা হয় কেন? গ. উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১-এ ব্যবহৃত প্রযুক্তিতে তথ্য আদান প্রদানের প্রμিয়া ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের দৃশ্যকল্প-১ ও ২-এর মধ্যবর্তী যোগাযোগ প্রটোকল দুইটির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর। ৭ নং প্রশ্নের উত্তর ক. যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রμিয়াকরণ, আধুনিকীকরণ ও ব্যবস্থাপনা করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি (ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঞবপযহড়ষড়মু) বা সংক্ষেপে আইটি (ওঞ) বলা হয়। খ. ইন্টারনেট মাধ্যমেই মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করে একে অপরের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। এইজন্যই ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বগ্রাম সংযুক্ততার মের”দন্ড। গ. দৃশ্যকল্প-১-এ ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। ভিডিওকনফারেন্সিং ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীগণ কথোপকথনের সাথে সাথে নিজেদের ছবি দেখতে পারে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিভিন্ন ব্যক্তি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন। অধিকন্তু ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থায় টেলিভিশনের পর্দায় অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে একে অন্যকে দেখে কথোপকথনে অংশগ্রহণ করেন। এ ব্যবস্থায় ক্যামেরা থেকে সংগৃহীত ছবি এবং মাইμোফোন ও স্পিকার থেকে সংগৃহীত শব্দের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান হয়। এক পাশের ব্যক্তি শব্দ ও ছবির প্রতি উত্তরে অন্য পাশের ব্যক্তির শব্দ ও ছবি প্রেরণের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং সম্পন্ন হয়। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য যে সব উপাদানগুলো প্রয়োজন তাহলো- মাল্টিমিডিয়া কম্পিউটার, ওয়েব ক্যামেরা, ভিডিও ক্যাপচার কার্ড, মডেম ও ইন্টারনেট সংযোগ। ঘ. দৃশ্যকল্প-১ ভিডিও কনফারেন্সিং যার মাধ্যমে ছবি দেখা যায় কথা শুনা যায় যা সম্পাদনের জন্য মডেম, মাইμোফোন, ইন্টারনেট, স্পিকার, ওয়েব ক্যামেরা, সফটওয়্যার ইত্যাদির প্রয়োজন। এই পদ্ধতিতে টেলিফোনের মাধ্যমে ডেটা অপটিক ক্যাবল বা মাইμোওয়েবের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদানের কাজ সম্পাদন করে। ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা, ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি গ্র”প স্টাডি করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে তাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমানোর সুযোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে, বিভিনড়ব দেশে একই কোম্পানির ব্যবসা-বাণিজ্যের যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ভিডিও কনফারেন্সিং একটি গুর”ত্বপূর্ণ মাধ্যম। দৃশ্যকল্প ২-এ টেলিকনফারেন্সিং ব্যবহৃত হয়েছে। টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠানের প্রμিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং বলা হয় এবং এ সভাকে টেলিকনফারেন্স বলে। বিশ্বের যেকোনো জায়গা (যেখানে টেলিফোন সংযোগ আছে) থেকে যে কেউ টেলিকনফারেন্সিং করতে পারেন। এ ব্যবস্থায় সভায় অংশগ্রহণকারী কী-বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে তাদের বক্তব্য বা জবাব পাঠায়। বিভিন্ন ধরনের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন- পাবলিক কনফারেন্স, ক্লোজড কনফারেন্স ও রিড অনলী কনফারেন্স। টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টেলিকনফারেন্স করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হলো- কম্পিউটার, টেলিফোন সংযোগ, অডিও যন্ত্রপাতি (অডিও কার্ড, মাইμোফোন, গওঈ স্পীকার ইত্যাদি) ও উপযুক্ত সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, দৃশ্যকল্প-১ ও দৃশ্যকল্প-২ হতে দেখা যায় যে, ভিডিও কনফারেন্সিং অধিক গ্রহণযোগ্য। ফারজানা নিয়ম মোতাবেক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে সবুজ ফারজানা অনুমতিতে অন্যের ফাইল কপি করে নিয়ে যায়। উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় বিথী ও সবুজের আচরণ সম্পূর্ণ বিপরীত। ৮) নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। রহিম গ্রাম থেকে ঢাকা আসে। সেখানে তার বন্ধু করিম তাকে নিয়ে ‘ক’ স্থানে যায়। সেখানে প্রবেশের জন্য আঙুল ব্যবহৃত হয়। এরপর তারা ‘খ’ স্থানে গিয়ে দেখল, সেখানে প্রবেশের জন্য চোখ ব্যবহৃত হয়। অতপর তারা ‘গ’ স্থানে গিয়ে বিশেষ ধরনের হেলমেট ও চশমা পড়ে অনেকক্ষণ মজা করে ড্রাইভিং করে। ক. তথ্য প্রযুক্তি কী? খ. তথ্য প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতায় ডায়াবেটিস রোগীরা উপকৃত হচ্ছে- ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে ‘গ’ স্থানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ ও ‘খ’ এর মধ্যে কোন প্রযুক্তি অধিকতর ব্যবহৃত হচ্ছে- বিশ্লেষণপূর্বক তোমার মতামত দাও। ৮ নং প্রশ্নের উত্তর ক.তথ্য সংগ্রহ, সত্যতা ও ক্সবধতা বাছাই, সংরক্ষণ, প্রμিয়াকরণ, আধুনিকীকরণ ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি। খ. জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জীবের এককোষ থেকে অন্যজীবে স্থানান্তর করে রিকম্বিনেট উঘঅ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানব দেহের জন্য ইনসুলিন ক্সতরি হয় যা ডায়াবেটিস আμান্ত ব্যক্তি শরীরে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। সুতরাং বলা যায় তথ্য প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডায়াবেটিস রোগীরা উপকৃত হচ্ছে। গ. উদ্দীপকে ‘গ’ স্থানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পনিক পরিবেশ যা ব্যববহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিমেন্স, যাকে মডেলিং ও অনুর”প বিদ্যার প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক ইমেজ ক্সতরি করে। যা পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন বা উপলব্ধি করতে পারে। উদ্দীপকে রহিম ও করিম ‘গ’ স্থানে গিয়ে বিশেষ ধরনের হেলমেট ও চশমা পরে অনেক মজা করে ডাইভিং করে। ব্যবহৃত এই প্রযুক্তি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। ঘ. বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ, ব্যান্ড জিওমেট্রি পদ্ধতিতে মুখমন্ডল, চোখের রেটিনা, স্বাক্ষর, কণ্ঠস্বর ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত করা হয়। উদ্দীপকে করিম তার বন্ধু রহিমকে নিয়ে ‘ক’ স্থানে গেল এবং সেখানে প্রবেশের জন্য আঙুল ব্যবহৃত হলো। এরপর ‘খ’ স্থানে প্রবেশের জন্য তাদের চোখ ব্যবহৃত হলো। এখানে ‘ক’ ও ‘খ’ উভয় স্থানেই বায়োমেট্রিক্স ব্যবহৃত হয়েছে। ‘খ’ স্থানে ব্যবহৃত চোখের রোটিনা দ্বারা নিরাপত্তায় ব্যবহৃত মেশিন অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে ডেটা রিকগনিশন ও ভেরিফিকেশন করা ঝামেলাপূর্ণ। অন্যদিকে ‘ক’ স্থানে ব্যবহৃত আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার মেশিনটি কম দামী ও সহজলভ্য। তাছাড়া এখানে ডেটা রিকগনিশন ও ভেরিফিকেশন করা অত্যন্ত সহজ। তাই ‘ক’ স্থানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি অধিকতর ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
Share:

Thursday, March 8, 2018

Chapter-01 (ICT: World & Bangladesh Perspective)

১. তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) কাকে বলে?
উঃ কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, একত্রীকরণ, সংরক্ষন, প্রক্রিয়াকরন এবং বিনিময় বা পরিবেশনের ব্যবস্থাকে তথ্য প্রযুক্তি বলে। সংক্ষেপে এই প্রযুক্তিকে IT বলা হয়।

২. যোগাযোগ প্রযুক্তি (Communication Technology) কাকে বলে?
উঃ যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো তথ্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।

৩. ICT কী?
উঃ ICT এর পূর্নরূপ হলো Information & Communication Technology । যে প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, সত্যতা ও বৈধতাযাচাই, সংরক্ষন, প্রক্রিয়াকরন, আধুনিকরন ও ব্যবস্থাপনাকরা হয় এবং তথ্য এক স্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। অথবা, যে প্রযুক্তির মাধ্যমে কোনো ডেটাকে এক স্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর কিংবা একজনের ডেটা অন্যের নিকট স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে।

৪. তথ্য প্রযুক্তির অবদান সমূহ লেখ।
উঃ ক) অপচয় রোধকরে।
খ) সময় সাশ্রয়ী হয়।
গ) তথ্যের প্রাপ্যতা সহজ হয়।
ঘ) তাৎক্ষনিক যোগাযোগ সম্ভব হয়। যেমনঃ ফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ই-মেইল, এসএমএস, এমএমএস প্রভৃতি।
ঙ) সর্বক্ষেত্রে দক্ষতাবৃদ্ধি পায়।
চ) ব্যবসায়-বানিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়া সৃষ্টিকরে।
ছ) মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটায়।
জ) শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন নামী-দামী শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষা গ্রহন করতে পারবে।
ঝ) ঘরে বসেই বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, মোবাইল ফোনের বিল সহ সকল কাজ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে।

৫. গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম কী? বিশ্বগ্রামের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ: বিশ্বগ্রাম হলো এমন একটি ধারণা যা পৃথিবীর সকল দেশকে একটি একক গ্রামের আওতায় নিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে ভুমিকা রেখেছে তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আজ সমগ্র পৃথিবী গ্রামের মতো ছোট হয়ে আসছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। যে কোনো বিষয়ে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি। পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে তা আমরা জানতে পারি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিশ্বের মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। বিশ্বগ্রাম হলো তথ্য প্রযুক্তির বন্ধনে আবদ্ধ একটি ক্ষেত্র যা সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোর মধ্যে আবদ্ধ করেছে।

৬. বিশ্বগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা সমুহ লিখ।
 বিশ্বগ্রামের সুবিধাসমুহ নিম্মে আলোচনা করা হল –
১) বিশ্বগ্রাম হলো এমন একটি ধারণা যা পৃথিবীর সকল দেশকে একটি একক গ্রামের আওতায় নিয়ে এসেছে।
২) বিশ্বগ্রাম তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি।
৩) বিশ্বগ্রামের কারণে যে কোনো বিষয়ে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।
৪) বিশ্বগ্রামের ফলে ঘরে বসেই আমরা পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে তা জানতে পারি।
৫) বিশ্বগ্রাম তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিশ্বের মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে।
৬) বিশ্বগ্রামের ফলে সাংস্কৃতিক জগতে বিপ্লব সাধিত হয়েছ্।
৭) বিশ্বগ্রামের ফলে ঘরে বসেই বিশ্বের বা দেশের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষা সেবা গ্রহন করা যাচ্ছে।

বিশ্বগ্রামের অসুবিধাসমুহ নিম্মে আলোচনা করা হল –
১) ই-মেইল একাউন্টে প্রায়ই কিছু কিছু অচেনা ও অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল পাওয়া যায় যা আমাদের বিরক্তি ঘটায়।
২) ক্রিমিনালরা সাইবার আক্রমনের মাধ্যমে কারও সিস্টেমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে ফাইল, প্রোগ্রাম কিংবা হার্ডওয়্যার ধ্বংস বা ক্ষতি সাধন করে।
৩) সাইবার চুরির মাধ্যমে কারোর একাউন্ট থেকে তার সমস্ত টাকা নিজ একাউন্টে ট্রান্সফার করে নেয়া।
৪) কাউকে ভয়-ভীতি দেখানো বা হুমকি দেয়া।
৫) পর্ণোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।

৭. বিশ্বগ্রাম ব্যবস্থার ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকগুলো আলোচনা কর।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের শতকরা আশি জন লোক কৃষি কাজ করে থাকে। সুতরাং কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন হলে আমাদের দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক অগ্রগতি সাধিত হবে। আমাদের দেশে কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। বাংলাদেশ সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে দরিদ্র বিমোচনের হাতিয়ার হিসেবে দেখছে। আইসিটির মাধ্যমে কৃষি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের টেলিভিশন ও রেডিও অনুষ্ঠান (যেমন-হৃদয়ে মাটি ও মানুষ, কৃষি দিবানিশি, মাটির টানে ইত্যাদি) কৃষকদের কৃষি ফসল, চাষ পদ্ধতি, বাজারজাতকরণ প্রভৃতি সম্পর্কে অনুষ্ঠান প্রচার করে এবং কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে। ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র, যার মধ্যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পেয়ে থাকে, কৃষিপণ্য সংμান্ত ওয়েব সাইট থেকে কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারে এবং ফসলের রোগ প্রতিরোধ পদ্ধতি, উন্নত জাত নির্বাচন ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য লাভ করতে পারেন। এর ফলে কৃষক অধিক ফসল উৎপন্ন করতে পারে এর ফলে কৃষি এবং কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়।
আজকাল কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় লেখালেখির কাজ এবং প্রশিক্ষণের জন্য তথ্যসেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে এবং ফলে বেকারদের কর্মসংস্থান এবং অন্যদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। নিজে আত্মকর্মসংস্থান করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন। অদক্ষদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী তৈরির ফলে আমরা বিদেশে আইটিতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি যা অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করে। বর্তমানে আমাদের দেশে-বিদেশে কর্ম সংস্থানের জন্য রেজিস্ট্রেশনের কাজ ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে করা যায়। এর ফলে গ্রামের লোকজন বিশেষ করে অর্ধশিক্ষিত/ অশিক্ষিত লোকজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা নিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রμিয়া করতে পারে এবং বিদেশে গিয়ে অর্থ উপার্জন করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ইউটিলিটি বিল এমনকি আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং করের টাকা পরিশোধ করা যায়। এই পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ বিধায় জনসাধারণ আয়কর দিতে উৎসাহী হয় এবং এর ফলে প্রচুর রাজস্ব আদায় হয় জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ব্যাংকিং খাতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে, ব্যাংক এখন সাধারণ চেক বইয়ের পরিবর্তে এমআইসি আর (MICR) চেক ব্যবহার করে। এর ফলে নিকাশ ঘরের কাজ অতি অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে। তাছাড়াও বিদেশ দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রেও পূর্বের ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে ইলেকট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে টাকা পাঠানো হয়। ফলে ফান্ড স্থানান্তর অতি দ্রুত হয় যা আমাদের অর্থনীতি উন্নতি ত্বরান্বিত করে।

৮.কৃষিকাজে ও বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে বিশ্বগ্রামের ভূমিকা আলোচনা কর।
কৃষিক্ষেত্রে বিশ্বগ্রাম তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ: বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো কৃষি প্রধান দেশ। এসব দেশের ৮০% লোক কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষি শিল্পের উন্নতির সাথে এসব দেশের উন্নতি নির্ভর করে। আর এই কৃষির উন্নয়ন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখ করার মতো। আজ-কাল জমির মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাটির বিভিন্স উপাদানের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে পারেন, কোনো মাটিতে কোনো ফসল ভালো উৎপাদন হবে। তথ্য প্রযুক্তির বদে․লতে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কৌশল কৃষকরা জানতে পারে, পূর্বে তারা শুধু অভিজ্ঞতার আলোকে চাষাবাদ করত। রোগ বালাইর আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য কার্যকরী ঔষধ, প্যাকেজিং ব্যবস্থা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে পেয়ে থাকে। অনলাইন কৃষি বাজারও চালু হয়েছে-যার ফলে কৃষকরা সহজে বেশি দামে কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারে। কৃষকরা গ্রামে থেকেই মুহূর্তের মধ্যে বড় বড় শহরের পাইকারি বাজারের দাম জানতে পারে। ফলে কম দামে ফসল বিক্রি করে লোকসান দিতে হয় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন গবেষণা ও প্রয়োগের ফলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উন্নত, অধিক ফলনশীল, প্রতিকূল পরিবেশে সহনশীল খাদ্যশস্য আবিষ্কার করছে যা কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

বেকার সমস্যা সমাধানে বিশ্বগ্রাম তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা দেশে এবং দেশের বাইরে কোথায় কোন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারি এবং সে অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারি। বর্তমানে প্রায় সকল অফিস-আদালতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। এর ফলে এ ফিল্ডের দক্ষ লোকের যেমন- প্রোগ্রামার, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, এডমিনিস্ট্রেটর ইত্যাদি প্রয়োজন এবং এদের সাথে আরো অনেক সাপোর্টিং স্টাফ প্রয়োজন। এর ফলে অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের দেশে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু হয়েছে। এর ফলে অনেক বেকার যুবক/যুবতীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। দেশি বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ/প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী তৈরি করার জন্য অনেক ট্রেনিং স্কুল/সেন্টার গড়ে উঠেছে-যাতে কর্মসং¯থানের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। কিন্তু তাদের একটু যুযোপযোগী প্রশিক্ষণ দিলে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে এদের বেকারত্ব ঘুচানো সম্ভব। আউটসোর্সিং হলো দেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে অন্যদেশের ক্লায়েন্টদের কাজ করিয়ে দিয়ে বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করা। কাজগুলোর মধ্যে কম্পিউটার বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, ওয়েব ডিজাইন করা, ইমেজ এডিটরের কাজ। যারা একাজে জড়িত তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত ব্যবসায়ী বলা হয়।

৯. শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম ব্যাখ্যা কর। অথবা, শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার লেখ। [ব-১৩]
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তির প্রভাব/ব্যবহার: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারে একটি শক্তিশালী টুলস। ফরমাল এবং নন-ফরমাল উভয় পদ্ধতিতেই এটি অত্যন্ত কার্যকর। যে কোনো সময় এবং যে কোনো স্থানে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে আইসিটির বদৌলতে। কোনো শিক্ষার্থী দিনের যে কোনো সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সকল কোর্স সংμান্ত তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। তাছাড়াও রেডিও এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে লেকচার ব্রডকাস্টিং করা হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা প্রচুর পরিমাণে কোর্স সম্পর্কীয় উপাত্ত এবং তথ্য পেয়ে থাকে। সুতরাং উভয়ের জন্য যে কোনো বিষয়ে গবেষণা সহজ হয়। ক্লাসের পাঠের সাথে সংগতিপূর্ণ বিভিন্ন চিত্র, অডিও, ভিডিও ব্যবহার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণমূলক ক্লাসের মাধ্যমে পাঠের বিষয়কে শিক্ষার্থীদের সামনে আরো সহজ, বোধগম্য করে তোলা হয়। এর জন্য কম্পিউটার এবং প্রজেক্টর ব্যবহার করা হয়। শিক্ষকরা তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আপডেট রিচার্স/ গবেষণা সম্পর্কে ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। কোনো বিষয়ে গবেষণার জন্য আর লাইব্রেরির মধ্যে বসে থাকতে হয় না। শুধু ইন্টারনেটে প্রবেশ করে উল্লেখিত/ প্রয়োজনীয় বিষয় লিখে সার্চ দিলেই বের হয়ে আসে শত শত প্রবন্ধ রচনা বা বিভিন্ন ছবি। নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর অডিও এবং ভিডিও পাওয়া যায়। যা ব্যবহার করে শিক্ষকরা ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারে। শিক্ষকরা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেকচার/ প্রবন্ধ/ অডিও/ ভিডিও নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে আপলোড করে রাখতে পারে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না গিয়েও ঐ লেকচার ডাউনলোড করতে পারে। বর্তমানে কিছু পরীক্ষাও অনলাইনের মাধ্যমে নেয়া হয়। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নেও তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষার উত্তর পত্র মূল্যায়ন এবং রচনামূলক অংশের নম্বর মিলকরণ, বিভিন্ন বিষয়ের গ্রেডিং করা এবং জিপিএ নির্ণয় করা ইত্যাদি সকল কাজই প্রযুক্তি নির্ভর স্বয়μিয়ভাবে প্রস্তুত করা হয়।

১০. কৃষিক্ষেত্রে শস্য নির্বাচন থেকে শুর” করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে একজন কৃষক কীভাবে উপকৃত হতে পারেন?
কৃষিক্ষেত্রে বিশ্বগ্রাম তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ: বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো কৃষি প্রধান দেশ। এসব দেশের ৮০% লোক কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষি শিল্পের উন্নতির সাথে এসব দেশের উন্নতি নির্ভর করে। আর এই কৃষির উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখ করার মতো। আজ-কাল জমির মাটি পরীক্ষানিরীক্ষা করে মাটির বিভিন্ন উপাদানের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে পারেন, কোনো মাটিতে কোনো ফসল ভালো উৎপাদন হবে। তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন কৌশল কৃষকরা জানতে পারে, পূর্বে তারা শুধু অভিজ্ঞতার আলোকে চাষাবাদ করত। রোগ বালাইর আμমণ থেকে রক্ষার জন্য কার্যকরী ঔষধ, প্যাকেজিং ব্যবস্থা, বাজারজাতকরণ ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে পেয়ে থাকে। অনলাইন কৃষি বাজারও চালু হয়েছে-যার ফলে কৃষকরা সহজে বেশি দামে কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারে। কৃষকরা গ্রামে থেকেই মুহূর্তের মধ্যে বড় বড় শহরের পাইকারি বাজারের দাম জানতে পারে। ফলে কম দামে ফসল বিμি করে লোকসান দিতে হয় না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন গবেষণা ও প্রয়োগের ফলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উন্নত, অধিক ফলনশীল, প্রতিকূল পরিবেশে সহনশীল খাদ্যশস্য আবিষ্কার করছে যা কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

১১. গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম কী? বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বগ্রাম-এর ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ: বিশ্বগ্রাম হলো এমন একটি ধারণা যা পৃথিবীর সকল দেশকে একটি একক গ্রামের আওতায় নিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে ভুমিকা রেখেছে তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আজ সমগ্র পৃথিবী গ্রামের মতো ছোট হয়ে আসছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি। যে কোনো বিষয়ে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি। পৃথিবীর কোথায় কি ঘটছে তা আমরা জানতে পারি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিশ্বের মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। বিশ্বগ্রাম হলো তথ্য প্রযুক্তির বন্ধনে আবদ্ধ একটি ক্ষেত্র যা সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোর মধ্যে আবদ্ধ করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বগ্রামÑএর ভুমিকা নিম্মে আলোচনা করা হলো-
১) যোগাযোগ (Communication): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার যোগাযোগ ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন সাধন করেছে। বর্তমানে যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যমগুলো হলো মোবাইল ফোন, ই-মেইল, টেলি কনফারেন্সিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি।

২) কর্মসংস্থান (Employment): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা দেশে এবং দেশের বাইরে কোথায় কোন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারি এবং সে অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারি।

৩) শিক্ষা (Education): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারে একটি শক্তিশালী টুলস। ফরমাল এবং নন-ফরমাল উভয় পদ্ধতিতেই এটি অত্যন্ত কার্যকর। যে কোনো সময় এবং যে কোনো ¯ ানে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে আইসিটির বদৌলতে।

৪) চিকিৎসা (Treatment): বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখ করার মতো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা যা তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর তা আজ মানুষকে এনে দিয়েছে দীর্ঘ এবং সুন্দর জীবন। আইসিটি ব্যবহারের ফলে এক্সরে, আলট্রাসাউন্ড, এম আর আই (গজও) প্রভৃতি প্রযুক্তির সুফল আমরা পেয়ে থাকি।

৫) অফিস (Office): অফিস-আদালত অনেকটাই এখন তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ। অফিস বলতে এখন আর কক্ষের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে স্তূপ করা গুছানো বা অগুছানো কাগজ ফাইল, রেজিস্টার-এর উপর ধূলাবালি পড়ে আছে এমন একটি পরিচিত দৃশ্য চোখে পড়ে না। টেবিলের উপর একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার ইত্যাদি প্রযুক্তির সব যন্ত্রপাতি প্রায় সকল অফিসেই রয়েছে।

৬) বাসস্থান (Residence): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের বাস¯ ানকে করে তুলেছে অধিকতর নিরাপদ। আমরা আমাদের বাস্থানের বাইরের দিকে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এর ফলে অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা অন্য কিছুর গতি-বিধি মনিটরিং করা যায়।

৭) ব্যবসা-বাণিজ্য (Business): বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। সকল ক্ষেত্রেই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যেও আইসিটির ব্যবহার অপরিসীম। আইসিটি ব্যবহারের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন শুধু নির্দিষ্ট দোকান বা ব্যবসা কেন্দ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে।

১২. বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদানসমূহের বর্ণনা দাও।
বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদান গুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্মে দেয়া হলো-
ক) ডেটা বা উপাত্ত: ডেটা বা উপাত্ত হলো সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট। ডেটা বা উপাত্তকে প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে তথ্যে পরিনত করা হয়। বিশ্বগ্রামে তথ্যই হচ্ছে মুল্যবান সম্পদ। বিশ্বগ্রামে ডেটা বা তথ্যকে মানুষের প্রয়োজনে একে অপরের সাথে বিনা মুল্যে বা অর্থের বিনিময়ে শেয়ার করতে পারে।

খ) হার্ডওয়ার: বিশ্বগ্রামে হার্ডওয়্যার বলতে ইলেকট্রনিক এর বিভিন্ন যন্ত্র বা যন্ত্রাংশকে বুঝায়। যেমন- কম্পিউটার, মডেম, ইন্টারনেট কার্ড, হাব ইত্যাদি। বিশ্বগ্রামে যে কোন ধরণের যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য উপযুক্ত হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতির একান্ত প্রয়োজন।

গ) সফটওয়্যার: বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠায় হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতিকে সচল করার জন্য সফটওয়্যার প্রয়োজন। সফটওয়্যার ছাড়া হার্ডওয়্যার অর্থহীন। সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাইজিং সফটওয়্যার ইত্যাদি।

ঘ) মানুয়ের সক্ষমতা: বিশ্বগ্রামের উপাদান গুলোর মধ্যে মানুষের দক্ষতা বা সক্ষমতা অন্যতম। বিশ্বগ্রাম যেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভও সেহেতু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে অবকাঠামোগত জ্ঞান ছাড়া এর সুফল পাওয়া যাবে না। এছাড়া যেকোন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের জন্য এই প্রযুক্তিতে মানুষের সক্ষমতা প্রয়োজন।

ঙ) নেটওর্য়াক কানেকটিভিটি: বিশ্বগ্রামে মের”দন্ড হলো নিরাপদভাবে বিভিন্ন রিসোর্স শেয়ার করার নেটওর্য়াক বা কানেকটিভিটি যার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত প্রতিটি মানুষের মাঝে তথ্য ও উপাত্ত পৌছে দেয়া। নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদানই হচ্ছে বিশ্বগ্রামের মুল ভিত্তি।

১৩. ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি ? ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ভার্চুয়াল বিয়েলিটির প্রযোজনীয়তা বর্ণনা কর।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (Virtual Reality): ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার এবং বিভিন্ন প্রকার সেন্সর এর সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিবেশ যার অস্তিত্ব থাকতে পারে আবার সম্পূর্ণ কাল্পনিক হতে পারে । যেমন- সৌরজগতের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটার, স্পিকার, বিভিন্ন ছবি বা চিত্র বিশেষ পদ্ধতিতে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা হয় যা প্রদর্শনের পর দর্শকের মনে হবে যেন সে সৌর জগৎ প্রদক্ষিণ করেছেন। এখানে অভিজ্ঞতা এবং কল্পনা শক্তি কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বপ্নে ভুবন তৈরি করা হয়।

ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ভার্চুয়াল বিয়েলিটির প্রযোজনীয়তা: শিক্ষাক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: শিক্ষাক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদান করা যায়। এর সুবিধা হলো এখানে ত্রিমাত্রিক পরিবেশে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট বড় গ্রুপ তৈরি করা যায়। সামরিক বাহিনীতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: সামরিক বাহিনীতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনটি (সেনা, নৌ বিমান) বাহিনীতেই এটি প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিশেষ করে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, অন্যান্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি এবং এসময় তাদের সঠিক করণীয় প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্বাস্থ্যসেবায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: স্বাস্থসেবায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে অস্ত্রোপচারে এবং আতঙ্কগ্রস্ত রোগীদের চিকিৎসা, রোবটিক্স সার্জারি এবং চিকিৎসা প্রশিক্ষণে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সুবিধা হলো এটা ডাক্তারদের নিরাপদ পরিবেশে নতুন কিছু শিখতে বা অনুশীলন করতে সাহায্য করে। এবং এতে রোগীদেও কোনো বিপদ ঘটছে না। ভার্চুয়াল রোবটিক্স সার্জারি: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর একটি জনপ্রিয় ব্যবহার হলো রোবটিক্স সার্জারি, যেখানে ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত রোবটিক্স ডিভাইস কম সময়ে এবং কম জটিলতা ও কম ঝুঁকিসহ অপারেশন করে। প্রকৌশল বিভাগে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রকৌশল বিভাগে ত্রিমাত্রিক মডেলিং টুলস এবং পরিকল্পনার নকশা দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতিতে প্রকৌশলীরা তাদের ত্রিমাত্রিক প্রকল্প দেখতে পারে এবং কীভাবে প্রকল্পটি কাজ করবে তা ভালোভাবে বুঝতে পারবে। মিডিয়ায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের প্রোগ্রামে নতুন বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে নির্মিত হচ্ছে ”লচ্চিত্র। তাছাড়াও সংগীত, বই তৈরি, ক্সবজ্ঞানিক প্রদর্শনী, টেলিকমিউনিকেশন, নির্মাণ, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ইত্যাদিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহৃত হয়।

১৪. ই-মইেল কি? এর প্রয়ােজনীয়তা, সুবধিা ও অসুবধিাগুলাে আলােচনা কর।
ই-মইেল: ই-মইেল হচ্ছে Electronic mail এর সংক্ষপ্তি রূপ। ইন্টারনটেরে মাধ্যমে তথ্যরে আদান প্রদান করার জন্য ই-মইেল ব্যবহার করা হয়। র্বতমান বশ্বিরে সবচয়েে স্বল্পব্যয়ী এবং দ্রুততম ইলকেট্রনকি যোগাযোগ মাধ্যম হল ই-মইেল। অন্যান্য যে কোন মাধ্যমরে চয়েে তুলনামূলক ভাবে ই-মইেল দ্রুতগামী এবং খরচ অনকে কম। যেখানে সাধারণ ডাকযোগে চিঠি প্রেরণে কয়েকদিন সময় লাগে; সেখোনে ই-মইেল এর সাহায্যে কয়কে সকেন্ডেরে মধ্যে পৃথবিীর যকেোন প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। এ কারণইে ই-মইেল সারা বশ্বিে জনপ্রয়িতার র্শীষে রয়ছে। ই-মইেল ব্যবহাররে প্রয়োজনীয়তা: ই-মইেল ব্যবহাররে প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা বলার অপক্ষো রাখে না। এটি যোগাযোগরে সবচযে়ে সহজ মাধ্যম। তাছাড়া কম খরচ, দ্রুত ব্যবহাররে সুবধিা, র্মাকটেংি এবং কলাবোরশেনরে জন্যে দনি দনি ই-মইেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বডে়ইে চলছ।
ফ্রি ই-মইেলরে সুবধিা ও অসুবধিা:
সুবধিা: ১) এটি বনিামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
২) সহজে একাউন্ট খোলা যায়।
৩) ভ্যালু এডডে র্সাভসি পাওয়া য়ায়।

অসুবধিা: ১) সিকিউরিটি কম।
২) তথ্য উদ্ধার করা কঠিন ।
৩) ই-মইেল এ্যাড্রেসগুলো বানিজ্যিকভাবে বিক্রি হয়ে যায়।
৪) গোপনীয়তার অভাব ।
৫) কখনও তথ্য পুনরুদ্ধার করার কোনো সুযোগ থাকে না।

১৫) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী ? বুদ্ধিভিত্তিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রসমুহ আলোচনা কর।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স: কম্পিউটারের নিজস্ব কোন বুদ্ধি নাই। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতি যন্ত্রেও মাদ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। যার কারণে কম্পিউটারের চিন্তরভানাগুলো মানুষের মতই হয়ে থাকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ক) বুদ্ধিভিত্তিক বিজ্ঞান, খ) রোবটিক্স ও গ) ন্যাচারাল ইন্টারফেস।
বুদ্ধিভিত্তিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রসমুহ নিম্মে আলোচনা করা হলো-
আবহাওয়া গবেষণা (Taming the weather):আবহাওয়ার পূর্বাভাস এর জন্য প্রচুর পরিমাণ ডেটা বিশ্লেষণ করতে হয়। অভিজ্ঞ আবহাওয়াবিদগণও সবসময় সূক্ষ্মভাবে তা বিশ্লেষণ করতে পারে না। বিজ্ঞানীরা এমন একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারে যা সকল ডেটা নির্ভুলভাবে বিশ্লেষণ, মানুষের মিস করা spot patterns আমলে নিয়ে অতি অল্পসময়ে নির্ভুল ফলাফল দিবে। সফটওয়্যারটি যখন একটি বড় ঝড় দেখবে তখন সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং গণমাধ্যমকে সতর্ক সংকেত পাঠাবে যা জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।

বিপদজনক/ বিরক্তিকর কাজ (Tackling dangerous or boring task):আমাদের ক্সদনন্দিন কাজগুলোর মধ্যে অনেক কাজই বিরক্তিকর অথবা বিপদজনক। যেমন- ঘরের মেঝে পরিষ্কার করা, সিঁড়ি, আসবাবপত্র পরিষ্কার করার জন্য আমরা রোবটিক্স ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করে থাকি, আসলে এটাও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স (Artificial Intelligence) এর ব্যবহার। তাছাড়া খনির ভিতর কাজ করা বা আগুনের অতি নিকটে কাজ করার মতো স্মার্ট রোবট ব্যবহার করা হয়।

পৃথিবী সংরক্ষণে (Saving the Planet):কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে শিঘ্রই বিজ্ঞানীরা রোবট ও অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী পদার্থগুলো পরিষ্কার করবে। উন্নত সফটওয়্যার দ্বারা মেশিনগুলো বুঝতে পারবে বা পার্থক্য করতে পারবে জৈবিক প্রাণী এবং বিপদজনক বর্জ্য বা তেল। এগুলো ক্ষতিকর বর্জ্য গ্রাস করবে এবং জৈব বর্জ্য অক্ষত ছেড়ে দিবে।

চালকবিহীন পরিবহন (Driverless transport):গাড়ি আগাম বার্তা দিবে দুর্ঘটনা থেকে অথবা নিজেই চলতে শুর” করবে এমনটি কি চিন্তা করা যায়? হ্যাঁ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুব শিঘ্রই এটি সম্ভব করতে পারে ক্যামেরা, সেন্সর এবং বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে চালকবিহীন ট্রেন মানুষের সাহায্য ছাড়া জাপানের এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত করছে।

মহাকাশের সীমা অতিক্রম:কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে বিংশ শতকের মহাকাশ সীমা পেরিয়ে অনেকদূর যেতে পারবে এবং সৌরজগতের সীমানা পিছনে ফেলে বিচরণ করা সম্ভব হবে। নাসা এরই মধ্যে মানুষ্যবিহীন উপগ্রহ দূরবর্তী ছায়াপথে প্রেরণের উদ্যোগ নিয়েছে। যেখানে মানুষ পৌঁছতে অনেক সময় লাগত। চালকবিহীন রোভার্স মঙ্গল গ্রহ এবং অন্যান্য গ্রহ থেকে ছবি উঠিয়ে বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠিয়েছে যেখানে মানুষের বিচরণ অসম্ভব।

অর্থনীতি রক্ষা করে: ২০১০ সালের হিসাবে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক শেয়ার বাজার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার দ্বারা পরিচালিত হয়। এই প্রোগ্রাম spot patterns অ্যলগরিদম ব্যবহার করে ভবিষ্যদ্বাণী করে। এর উপর ভিত্তি করে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। এই প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও লাভবান করতে সাহায্য করে।

১৬) রোবট কি? প্রাত্যহিক জীবনে রোবটিকস এর ব্যবহার লিখ। অথবা, রোবটিকস এর গুর”ত্ব ব্যাখ্যা কর।
রোবট: রোবট হচ্ছে এক ধরনের মেশিন যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এটি মানুষের মতো কাজ করতে পারে অথবা এর কাজের ধরন দেখে মনে হয়, এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আছে। রোবট যে শুধু মানুষের আকৃতির হবে তা নয়। একে তার কাজের উপযোগী করে আকার এবং আকৃতি দেয়া হয়। রোবট অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এবং ক্লান্তিহীনভাবে পূর্বলিখিত প্রোগ্রামের ভিত্তিতে কাজ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রানজিশন রিসার্চ কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী জোসেফ এফ এনজেলবার্গার হচ্ছেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট এর জনক। তার রোবটটি ছিল ভ্যাকুয়াম ক্লিনার রোবট। এটি কোনো মানুষের সাহায্য ছাড়াই বড়বড় সুপার মার্কেট, এয়ারপোর্ট বা ফ্যাক্টরি পরিষ্কারের কাজ করতে পারে।

প্রাত্যহিক জীবনে রোবটিকস এর ব্যবহার: শিল্পক্ষেত্রে কঠোর শারীরিক পরিশ্রম বা জটিল এবং বিপদজনক কাজগুলো রোবটের সাহায্যে করা যায়। এর সাহায্যে বিরামহীনভাবে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারে। কারখানায় কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবটের সাহায্যে নানারকম বিপদজনক কাজ; যেমনÑওয়েল্ডিং, ঢালাই, ভারি মালামাল ওঠানো-নামানো যন্ত্রাংশ সংযোজন ইত্যাদি কাজ করা হয়। বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো সার্কিটের কাজ সূচার”রূপে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারে রোবটের সাহায্যে যা মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট বা সাগরের তলদেশের বিভিন্ন গবেষণার কাজের জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়।

১৭) ক্রায়ো সার্জারি কী ? ক্রায়ো সার্জারির পদ্ধতি সর্ম্পকে আলোচনা কর।
ক্রায়ো সার্জারি (Cryosurgery): ক্যান্সার বর্তমান বিশ্বের একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। এমন কি সকল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পরও এর সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিকার নেই। ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে এগুলোর সবকটিরই আবার বিধ্বংসী পার্শ্বপ্র্রতি্ক্রিয়া রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অপারেশন করে অপসারণ, কেমোথেরাপি, বিকিরণ চিকিৎসা (Radiation treatment), হাইপারথারমিয়া (Hypothermia), ক্যান্সার চিকিৎসায় আরো একটি পদ্ধতি রয়েছে যার নাম হলো ক্রায়োসার্জারি (Cryosurgery).পদ্ধতি: ক্রায়ো সার্জারিতে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়। অত্যন্ত কম তাপমাত্রায় আক্রান্ত টিস্যুতে নাইট্রোজেন প্রয়োগ করা হয় যাতে কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এটি একটি সাধারণ এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি। কারণ এ পদ্ধতি সহজ, কার্যকর এবং কম খরচ। ক্রায়ো সার্জারির জন্য রোগীর তেমন কোনো পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না, তবে ব্যথার প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ৩০-৯০ মিনিট পূর্বে ব্যথানাশক (Numbing Cream) কৃত্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে ঝুঁকি কম এবং সময় অনেক কম লাগে। তরল নাইট্রোজেন কটন, স্প্রে বা মেটাল প্রোব ব্যবহার করে আক্রান্ত টিস্যুতে ৩০ সেকেন্ডের জন্য প্রয়োগ করা হয়। অধিকতর আক্রান্তের ক্ষেত্রে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রয়োগকৃত স্থানে বরফের কারণে সাদা হয়ে যায়, কারণ তরল নাইট্রোজেন অত্যন্ত ঠান্ডা বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই তারা সামান্য অস্থায়ী ব্যথা এবং কম্পন অনুভব করে।

 ১৮) “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাজের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ” উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর। [কু-০৪,চ-০৩]
অথবা, সমাজ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে তোমার মতামত দাও। [চ-০৭, সি-০৭, দি-১২,রা-০৬,কু-০২,০৬,০৯,য-০৩,১০,ব-০১,০৫,০৭,০৯,ঢা-০১,০৫,০৭,০৯]
অথবা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের সমাজে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে তার ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাজের জন্য যে এক বিরাট আশীর্বাদ তা নিম্মে আলোচনা করা হল -
১) যোগাযোগ (Communication): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার যোগাযোগ ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন সাধন করেছে। বর্তমানে যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যমগুলো হলো মোবাইল ফোন, ই-মেইল, টেলি কনফারেন্সিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি।

২) কর্মসংস্থান (Employment): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা দেশে এবং দেশের বাইরে কোথায় কোন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারি এবং সে অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারি।

৩) শিক্ষা (Education): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারে একটি শক্তিশালী টুলস। ফরমাল এবং নন-ফরমাল উভয় পদ্ধতিতেই এটি অত্যন্ত কার্যকর। যে কোনো সময় এবং যে কোনো স্থানে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে আইসিটির বদৌলতে।

৪) চিকিৎসা (Treatment): বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার উল্লেখ করার মতো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা যা তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর তা আজ মানুষকে এনে দিয়েছে দীর্ঘ এবং সুন্দর জীবন। আইসিটি ব্যবহারের ফলে এক্সরে, আলট্রাসাউন্ড, এম আর আই (MRI) প্রভৃতি প্রযুক্তির সুফল আমরা পেয়ে থাকি।

৫) অফিস (Office): অফিস-আদালত অনেকটাই এখন তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ। অফিস বলতে এখন আর কক্ষের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে স্তূপ করা গুছানো বা অগুছানো কাগজ ফাইল, রেজিস্টার-এর উপর ধূলাবালি পড়ে আছে এমন একটি পরিচিত দৃশ্য চোখে পড়ে না। টেবিলের উপর একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার ইত্যাদি প্রযুক্তির সব যন্ত্রপাতি প্রায় সকল অফিসেই রয়েছে।

৬) বাসস্থান (Residence): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের বাসস্থানকে করে তুলেছে অধিকতর নিরাপদ। আমরা আমাদের বাসস্থানের বাইরের দিকে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এর ফলে অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা অন্য কিছুর গতি-বিধি মনিটরিং করা যায়।

৭) ব্যবসা-বাণিজ্য (Business): বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। সকল ক্ষেত্রেই তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যবসাবাণিজ্যেও আইসিটির ব্যবহার অপরিসীম। আইসিটি ব্যবহারের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন শুধু নির্দিষ্ট দোকান বা ব্যবসা কেন্দ্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে।

১৯) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী ? জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে আমরা যেসব উপকার পেয়ে থাকি তা আলোচনা কর।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering): পরীক্ষাগারে বিজ্ঞানীরা জীবন্ত প্রাণির ডি এন এ (DNA) পরিবর্তন করার জন্য যে কৌশল অবলম্বন করে তাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। আবার অন্যভাবে বলা যায়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হলো কোনো প্রাণীতে ম্যানুয়েললি ডিএনএ (DNA) যোগ করার প্রμিয়া। কোনো জীবের জীবন, বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ঐ জীবের উঘঅ এর উপর নির্ভর করে।DNA এর যে অংশ বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী তাকে জিন (Genes) বলে। আণবিক বিজ্ঞানীগণ অনেক এনজাইম আবিষ্কার করেছেন যা DNA এর গঠন পরিবর্তন করতে পারে। কিছু কিছু এনজাইম আছে যার সাহায্যে DNA এর কিছু অংশ (strands) বাদ দিতে অথবা যোগ করতে পারে। এ ধরনের এনজাইম ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা DNA থেকে নির্দিষ্ট জিন বাদ দিয়ে কাস্টমাইজ DNA তৈরি করতে শিখেছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো সহজ হবে- টমেটো ঠা-া সহ্য করতে পারে না অন্যদিকে মাছ ঠান্পাডা নিতে থাকতে পারে। বিজ্ঞানীরা খুঁজে বের করবে কোনো জিনের জন্য মাছ ঠান্ডা সহ্য করতে পারে, সেই জিন টমেটোতে প্রতিস্থাপন করলে টমেটো ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে আমরা নিম্মলিখিতভাবে উপকার পেয়ে থাকি-
১। ইনসুলিন উৎপাদন হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবচেয়ে বড় সুফল। ইনসুলিন ডায়াবেটিক্স রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়।

২। Interferon হলো মানব কোষ থেকে নিঃসৃত এক ধরনের রস (agent) যা ভাইরাস নাশক (Anti viral) হিসেবে কাজ করে। আজকাল জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরি Interferon ব্যবহৃত হচ্ছে।

৩। জিন থেরাপি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সুফল। জিন থেরাপির মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা এবং ত্র”টিপূর্ণ মানুষের জিন পরিবর্তন করে সুস্থ করে তোলা যায়।

৪। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন অনেক sophisticated ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদন করা হয়। এ নতুন ঔষধ নির্দিষ্ট জিনের ক্লোনিং দ্বারা তৈরি।

৫। হিউম্যান গ্রোথ হরমোন এখন শিল্পজাত ব্যাকটেরিয়া থেকে নিষ্কাশিত হতে পারে। এই হরমোন বামনত্ব (বেঁটে) রোধে ব্যবহৃত হয়। জেনেটিক্যাললি উৎপাদিত হিউম্যান গ্রোথ হরমোন পোড়া ত্বক, ফেটে যাওয়া হাঁড়, এবং খ্যাদ্য নালির আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

৬। জেনেটিক্যাললি পরিবর্তিত (modified) ফসল উৎপাদনের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন- সয়াবিন, ভুট্টা, তুলা, তেল বীজ ইত্যাদি। এগুলো পোকা-মাকড় ও অন্যান্য উদ্ভিদ নাশক দ্বারা আক্রান্ত হলেও ছত্রাক ও ভাইরাস প্রতিরোধী। তাছাড়া জেনেটিক্যাললি পরিবর্তিত ফসল অধিক খরা ও ঠান্ডা সহ্য করতে পারে।

৭। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফলে জৈব কারখানায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও এনজাইম উৎপাদন করা যায়। এগুলো প্রচুর সংখ্যায় Tryptophan এর মতো টিকা ও সম্পূরক তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া জ্বালানি তৈরিতেও এগুলো ব্যবহৃত হয়।

৮। গর্ভবতী মহিলাদের Fetuses দেখে সন্তানের জেনেটিক ত্র”টিসমূহ নির্ণয় করা যায়। পিতা-মাতা ও ডাক্তার মিলে শিশুর জন্মের পূর্বেই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

২০) বায়োমেট্রিক্স কী ?
বায়োমেট্রিক্স (Bio metrics): বায়োমেট্রিক্স হলো জৈব বৈশিষ্ট্য/ তথ্য বিশ্লেষণ এবং পরিমাপ করার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যা। তথ্য প্রযুক্তিতে বায়োমেট্রিক্স বলতে ঐ কৌশল বা পদ্ধতিকে বোঝায় যা মানব দেহের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন- ডি এন এ, আঙ্গুলের ছাপ, চোখের রেটিনা ও আইরিশ, ভয়েস প্যাটার্ন, মুখ ম-লের প্যাটার্ন, হাতের মাপ ইত্যাদি প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে বিশ্লেষণ ও পরিমাপ করে। বায়োমেট্রিক্স যাচাইয়ের দ্বারা পরিচয় প্রমাণ ব্যবস্থা কর্পোরেট ও পাবলিক নিরাপত্তা, ইলেকট্রনিক্স পণ্য এবং বিμয় কেন্দ্রে একটি সাধারণ পদ্ধতি। নিরাপত্তা ছাড়াও বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের কিছু সুবিধা রয়েছে।

২১) ফেইসবুক কী ?
ফেসবুক (Facebook): বিশ্ব সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েব সাইট, যা ৪ঠা ফেব্র”য়ারি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কোনো রকম খরচ ছাড়া এতে সদস্য হওয়া যায়। মার্ক জোকার বার্গ (Mark Zuckerberg) ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ, এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ করতে এবং তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। ওয়েব সাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরে এটা সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাইস্কুল এবং ১৩ বছরের সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারা বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ১০০০ মিলিয়ন কার্যকরী সদস্য রয়েছে এই ওয়েব সাইটটির। ফেসবুককে তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সিরিয়া, চীন, এবং ইরানসহ বেশ কয়েকটি দেশে এটি আংশিক কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময়ের অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নির”ৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

২২) টুইটার কী ? 
টুইটার (Twitter): সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা ও মাইμোব্লগিংয়ের একটি ওয়েব সাইট। এখানে ব্যবহারকারিরা সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের বার্তা আদান-প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন। এই বার্তাকে টুইট বলা হয়। টুইটার সদস্যদের টুইট বার্তাগুলো তাদের প্রোফাইল পাতায় দেখা যায়। টুইটারের সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইটটি পড়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। টুইট লিখার জন্য সদস্যরা সরাসরি টুইটার ওয়েব সাইট ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়াও মোবাইল ফোন বা এসএমএস এর মাধ্যমেও টুইট লেখার সুযোগ রয়েছে। টুইটারের প্রধান কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কো শহরে। তাছাড়া টেক্সাসের সান এন্টেনিও এবং ম্যাসাচুসের বুস্টনে টুইটার সার্ভার ও শাখা কার্যালয় আছে। ২০০৬ সালে টুইটার যাত্রা শুর” করে চার বছরের মাথায় এর সদস্য হয় প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন- যা এর জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে।

২৩) এমিম কী ? 
এমিম: এটি একটি সামাজিক মিডিয়া ইন্টারনেট সার্ভিস। যেখানে ব্যবহারকারিরা মন্তব্য করে এবং মাল্টিমিডিয়া লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও) ভাগাভাগি করে একে অপরের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ডাল্টন কল্ডওয়েল, নেপস্টারের অনেক প্রকৌশলীবিদদের দল ২০০৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। মাইস্পেস একে কিনে নিয়েছে এবং বর্তমানে এর সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। মাইস্পেস এর প্রধান শাখা বেভারলি হিলোস, ক্যালিফোর্নিয়াতে।

২৪) ভিডিও কনফারেন্সিং পদ্ধতি কী ? এর সুবিধা সমুহ বর্ণনা কর। 
ভিডিও কনফারেন্সিং: যে যোগাযোগ ব্যবস্থারয় টেলিকনফারেন্সিং যন্ত্রপাতির সাথে ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত করে আলোচনায় অংশগ্রনকারীরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে কথোপকথোনে অংশগ্রহন করতে পারে তাকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলে। এ ব্যবস্থায় টেলিভিশনের পর্দায় পরস্পর পরস্পরের ছবি দেখতে পায়। ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভিডিও কনফারেন্সিং সুবিধা সমুহ নিম্মে বর্ণনা করা হলো:
১) সময় ও খরচ বাচিয়ে একাধিক ¯থানে অবস্থানরত ব্যক্তিদের নিয়ে সভা বা সেমিনার আয়োজন করা যায়।
২) এ পদ্ধতিতে দুরবর্তী কোন চিকিৎসকের সাথে কথা বলে চিকিৎসাপত্র নেওয়া যায়।
৩) শিক্ষাক্ষেত্রে ভিডিও কনফারেন্সিং এর গুর”ত্ব অত্যাধিক।এর মাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস করা যায়।
৪) সংবাদ সম্মোলন, ভিডিও ইত্যাদি ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে করা যায় ্

২৫) টেলিকনফারেন্সিং কী ? বিভিন্ন ধরণের টেলিকনফারেন্সি এর বর্ণনা দাও। 
টেলিকনফারেন্সিং: টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে দুই এর অধিক লোকের মধ্যে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং বলে। ১৯৭৫ সালে মরি টারফ এ পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে যে কোন ব্যক্তি টেলিফোন ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্সিং করতে পারে। টেলিকনফারেন্সিং ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, গবেষক, ছাত্র-শিক্ষকগণ পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের টেলিকনফারেন্সিং ব্যবস্থা নিম্মে আলোচনা করা হলো-
১) পাবলিক কনফারেন্স: এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। এত সকলে অংশগ্রহন করতে পারে।
২) ক্লোজড কনফারেন্স: এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত নয়। শুধুমাত্র নির্ধারিত সংখ্যক ব্যক্তি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অংশ গ্রহন করতে পারে।
৩) রিড অনলি কনফারেন্স: এটি শুধু পড়া যায়। ব্যবহারকারীরা এর কাযর্ বিবরনী পড়ে মন্তব্য করতে পারেন।

 ২৬) টেলিকনফারেন্সিং ও ভিডিও কনফারেন্সিং কী? টেলিকনফারেন্সিং এবং ভিডিও কনফারেন্সিং বিষয় দুটির মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর। [ঢা.-০৭, ০৩, ০৬, কু-০৯, চ-০২, ০৬,১০, রা-০৩,০৫,০৭, ব-০৪,০৬,০৮, ১২,সি-০৫, ০৯,য-০৮]
ভিডিও কনফারেন্সিং: যে যোগাযোগ ব্যবস্থারয় টেলিকনফারেন্সিং যন্ত্রপাতির সাথে ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত করে আলোচনায় অংশগ্রনকারীরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে কথোপকথোনে অংশগ্রহন করতে পারে তাকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলে। এ ব্যবস্থায় টেলিভিশনের পর্দায় পরস্পর পরস্পরের ছবি দেখতে পায়।

টেলিকনফারেন্সিং: টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে দুই এর অধিক লোকের মধ্যে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং বলে। ১৯৭৫ সালে মরি টারফ এ পদ্ধতির আবিষ্কার করেন। বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে যে কোন ব্যক্তি টেলিফোন ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্সিং করতে পারে।

টেলিকনফারেন্সিং এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এর মধ্যে পার্থক্য
১) টেলিকনফারেন্সিং এর বেলায় সভা-সমাবেশগুলো হয়ে থাকে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে যা কথোপকথন এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।ভিডিও কনফারেন্সিং  এর বেলায় সভা সমাবেশে উপস্থিত একে অপরকে স্ক্রিনে দেখতে পারে।

২) টেলিকনফারেন্সিং এ ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যারগুলো তুলনামুলকভাবে কম শক্তিশালী হয়ে থাকে। অন্যদিকে, ভিডিও কনফারেন্সিং এ ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যারগুলো তুলনামুলকভাবে বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।

৩) টেলিকনফারেন্সিং মুলত ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রেই বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অন্যদিকে, ভিডিও কনফারেন্সিংব্যবসা-বানিজ্য ছাড়াও স্বাস্থ্যখাতের টেলিমেডিসিন সেবায় শিক্ষাখাতে বেশি ব্যবহৃত হয়।

২৭) মানব বুদ্ধিমত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্য আলোচনা কর। 
মানব বুদ্ধিমত্তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে পার্থক্য-
১) মানব বুদ্ধিমত্তা সরাসরি ইন্দ্রিয়সমুহের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার কেরে তার পারদর্শীতা প্রদর্শন করে। অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয়সমুহের অভিজ্ঞতাকে সরাসরি ব্যবহারের সুযোগ থাকে না।

 ২) মানব বুদ্ধিমত্তা সৃষ্টিশীল। অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুষ্টিশীল নয়।

৩) মানব বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে খুব সহজে প্রতির”প তৈরি বা অন্যকে সরবরাহ করা যায় না।অন্যদিকে,  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মুলত বিশেয় ধরণের সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা খুব সহজেই প্রতির”প তৈরি ও অন্যদের কাছে সরবরাহ করা যায়।

৪) মানব বুদ্ধিমত্তা প্রকৃতিগতভাবে প্রাপ্ত।অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের দ্বারা কৃত্রিম উপায়ে পাপ্ত।

৫) মানব বুদ্ধিমত্তা চিরস্থায়ী নয়: কোনো কারণে এই বুদ্ধিমত্তার অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিরস্থায়ী। কম্পিউটার পদ্ধতি ও প্রোগ্রাম বদল রা না হলে এর স্থায়িত্বের হেরফের হয় না।

৬) মানব বুদ্ধিমত্তা ক্রমেই বিকশিত হতে পারে। অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্বাভাবিকভারে বিকাশের কোনো সুযোগ নেই।

৭) মানব বুদ্ধিমত্তাকে লিখে রাখা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রোগ্রাম কোড আকারে লিখে রাখা যায়।

২৮. ন্যানো টেকনোলজি কী ? 
ন্যানো টেকনোলজি (Nano Technology): ন্যানো শব্দটি গ্রিক nanos শব্দ থেকে এসেছে যার আভিধানিক অর্থ Dwarft. কিন্তু এটি একটি মাপের একক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১ মিটারের ১০০০০০০০০০ (১০০ কোটি) ভাগের এক ভাগকে বলা হয় ন্যানো মিটার। আর এ ন্যানোমিটার স্কেলে যে সমস্ত টেকনোলজি সম্পর্কিত সেগুলোকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে। বিজ্ঞানীরা ন্যানোবিজ্ঞান বা ন্যানোপ্রযুক্তি সম্পর্কে প্রম ধারণা পান নোবেল বিজয়ী পদার্থবিদ Richard Feynman-এর ১৯৫৯ সালের American physical society এর একটি সম্মেলনে দেয়া There’s Plenty of Room at the Bottom”নামের বক্তব্য থেকে। তারও এক দশক পরে Professor Norio Taniguchi  ন্যানো প্রযুক্তি শব্দটি উদ্ভাবন করেন। ন্যানো প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুটি প্রক্রিয়া আছে। একটি হলো উপর থেকে নিচে (Top to Bottom) এবং অপরটি হলো নীচ থেকে উপরে (Bottom to Top)। প্রতি বছরই দেখা যায়, কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় কিন্তু দাম আগের বছরের তুলনায় কমছে। কারণ এর সাথেও ন্যানো প্রযুক্তির সম্পর্ক রয়েছে। কম্পিউটারের ভিতরের মাইক্রোপ্রসেসরে রযেছে অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সার্কিট। আর তাতে ব্যবহৃত হচ্ছে ন্যানো প্রযুক্তি। ন্যানো প্রযুক্তির ফলে মোবাইলেই কম্পিউটারের কাজ করা যায় (বর্তমানে বাজারে এ ধরনের কিছু মোবাইল আছে)। তাছাড়া এ প্রযুক্তির ফলে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের ধারণ ক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে, যা ১০/১৫ বছর আগে কল্পনাও করা যেত না।

 ২৯) আউটসোর্সিং কী ? আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশে সম্ভাবনার কারণগুলো আলোচনা কর।  
আউটসোর্সিং: যখন কোন একটি প্রতিষ্ঠান তার কাজ অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করিয়ে নেন তখন তাকে আুটসোর্র্সিং বলে। অনলাইনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠার নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে নেয় এবং কর্ম সম্পাদন করে বুঝিয়ে দেয়। বিনিময়ে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে। আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশে সম্ভাবনা নিম্মে আলোচনা করা হলো:
ক) বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। অধিক জনগনের পক্ষে দেশে কাজের সুযোগ কম তাই বিশ্বের যে কোন দেশে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বাসায় বসে আউটসোর্সিং এর কাজ করে জীবিকিা নির্বাহ করতে পারে।

খ) বাংলাদেশের শ্রমের মুল্য অত্যন্ত কম তাই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করে ন্যায্য মুল্য পাওয়া যায়।

গ) দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত, উদ্যোমী প্রযুক্তিবিদ রয়েছেন যারা ক্রমবর্ধমান চাহিদা পুরনের মাধ্যমে নিজেদের কর্মসংস্থান করতে পারতে পারেন।

 ঘ) একটি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠায় যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন হয় তার চার ভাগের এক ভাগ অর্থ দিয়ে আইটি শিল্প পার্ক স্থাপন করা যায়। আইটি পার্ক স্থাপন করা গেলে বিপুল পরিমাান দক্ষ, শিক্ষিত যুবকের বেকার সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

 ঙ) দিন রাত্রি ২৪ ঘন্টা আউটসোর্সিং এর কাজ করা যায়।

 চ) আমাদের দেশের প্রোগ্রামাররা কোন ফার্মে বা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না করেও ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে বিশ্বের কোম্পানীগুলোতে কাজ করতে পারে।

৩০) ডিজিটাল ক্লাস রুম বা মাল্টিমিডিয়া রুম কী? 
ডিজিটাল ক্লাস রুম : ডিজিটাল ক্লাস রুম হচ্ছে কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ। শ্রেনিকক্ষে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ডেস্কে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা নোট প্যাড ব্যবহার করার ব্যবস্থা থাকবে। শিক্ষক কর্তৃক মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাঠদানের উপযোগী ক্লাসকে ডিজিটাল ক্লাস রুম বলে।

৩১) Smart Home কী? 
Smart Home: Smart Home  হলো এমন একটি বাসস্থান যেখানে রিমোট কন্ট্রোলিং বা প্রোগ্রামিং ডিভাইসের সাহায্যে বাড়ির হিটিং সিস্টেম, কুলিং সিস্টেম, লাইটিং সিস্টেম ও সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করা যায়।

৩২) নৈতিকতা কী? 
নৈতিকতা :  নৈতিকতা হলো মানুষের কাজ কর্ম, আচার ব্যবহারের সেই মূলনীতি যার ওপর ভিত্তি করে মানুষ একটি কাজের ভালো বা মন্দ দিক বিচার বিশ্লেষন করতে পারে।

৩৩) এক্সপার্ট সিস্টেম কাকে বলে? 
এক্সপার্ট সিস্টেম :  এক্সপার্ট সিস্টেম হলো এক ধরনের সিদ্ধান্ত সমর্থন পদ্ধতি যা নির্দিষ্ট বিষয়ে মানুষের ন্যায় কৃত্রিম দক্ষতা নিয়ে তৈরি। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অনেকগুলো মা্ইক্রোপ্রসেসর ও  চিপ ব্যবহার করে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে কম্পিউটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টি করা হয়। এ সিস্টেম থেকে প্রশ্ন করে উত্তর জানতে পারে।

৩৪) হ্যাকিং(Hacking) কী? 
হ্যাকিং(Hacking) : প্রোগ্রাম রচনা ও প্রয়োগের মাধ্যমে কোন কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলে। অথবা, হ্যাকিং হচ্ছে অনাধিকার প্রবেশ এবং অনৈতিক কর্মকান্ড। যা কম্পিউটারে বা ওয়েবসাইটে ঢুকে অন্যেও তথ্যের ক্ষতি সাধন করাকে হ্যাকিং বলে।
আবিস্কারক ঃ ১৯৯৫ সালে ক্যাভিন ডেভিড মিটনিক (Kevin David Mitnick)।


Share:

Wednesday, January 24, 2018

HSC ICT Chapter 1 Part 02

Share:

Monday, August 21, 2017

Scheduling Criteria and Algorithms

3.1. Scheduling Algorithm
There are different types of scheduling algorithm. In this lesson, we will describe only about FCFS and SJF, the rest of the algorithm will be discussed in the following lesson.
 
3.4.2. First-come First Served (FCFS)
First-Come First-Served (FCFS) is by far the simplest CPU scheduling algorithm. The work load is simply processed in the order of arrival, with no preemption. The process which request the CPU first is allocated the CPU first. Implementation
The implementation of FCFS is easily managed with a FIFO (First in-First out) queue. As the process becomes ready, it joins the ready queue when the current process finishes, the oldest process is selected next. Characteristics
i) Simple to implement
ii) Non-preemptive
iii) Penalize short and I/O bound process Implementation
The ready queue is used to contain all those processes that are ready to be placed on the CPU. The ready queue is treated as a circular queue. The CPU scheduler goes around the ready queue, allocating the CPU to each process for a time interval up to a quantum in length.
To implement round-robin scheduling, the ready queue is kept as a FIFO queue of processes. New processes are added to the tail of the ready queue. The CPU scheduler picks the first job from the ready queue, sets a timer to interrupt after one time quantum, and dispatches the process.
The process that is currently executing on the CPU will continue until either :
i)  its quantum expires
Each process has a fixed time limit (the quantum) during which they have the CPU and puts it on the operating system takes the process off the CPU and puts it on the end of the ready queue.
ii) it is blocked on some event. The process is awaiting for some event to occur not do any instruction execution until it is finished. The operating system will place the process onto the correct blocked queue. When the waited upon event occurs the process may be put onto either the CPU or the ready queue depending on the specific algorithm used.
Share:

Saturday, August 19, 2017

Scheduling Concept

Lesson 2 : Scheduling Concept

2.1. Learning Objectives
On completion of the lesson you will be able to know :
i) scheduling and scheduling queues
ii) what a scheduler is
iii) different types of schedulers.

Scheduling is a fundamental operating system function, since almost all computer resources are scheduled before use. The CPU is of course, one of the primary computer resources. Thus its scheduling is central to operating system design.
When more than one process is run-able, the OS must decide which one to run first. That part of the OS concerned with this decision is called scheduler and the algorithm it uses is called scheduling algorithm.
Scheduling refers to a set of policies and mechanism into operating system that govern the order in which the work to be done by a computer system is complicated.
Scheduler is an OS module that selects the next job to be admitted into the system and the next process to run. The primary objective of scheduling is to optimize system performance in accordance with the criteria deemed most important by the system designer. Before discussing about schedulers, we have to know about scheduling queues. Let's look at scheduling queues.
2.2.1. Scheduling Queues
The ready queues is used to contain all processes that are ready to be placed on to the CPU. The processes which are ready and waiting to execute are kept on a list called the ready queue. This list is generally a linked list. A ready queue header will contain pointers to the first and last PCBs in the list. Each PCB has a pointer field which points to the next process in the ready queue The ready queue is not necessarily a first-in-first-out (FIFO) queue. A ready queue may be implemented as a FIFO queue, a priority queue, a tree, a stack, or simply an unordered list. Conceptually, however, all of the processes in the ready are lined up waiting for a chance to run on the CPU.
The list of processes waiting for a particular I/O device is called a device queue. Each device has its own device queue. If the device is a dedicated device, the device queue will never have more than one process in it. If the device is sharable, several processes may be in the device queue.
A common representation for a discussion of CPU scheduling is a queuing diagram such as Fig. 3.3. Each rectangular box represents a queue. Two types of queues are present : the ready queue and a set of device queues. The circles represent the resources which serve the queues, and the arrows indicate the flow of processes in the system.
A process enters the system from the outside world and is put in the ready queue. It waits in the ready queue until it is selected for the CPU. After running on the CPU, it waits for an I/O operation by moving to an I/O queue. Eventually, it is served by the I/O device and returns to the ready queue. A process continue this CPU-I/O cycle until it finishes; then it exits from the system.
Since our main concern at this time is CPU scheduling, we can replace with one I/O waiting queue and I/O server.
Share:

Friday, August 11, 2017

Process Management


Unit 3 : Process Management

Processes are the most widely used units of computation in programming and systems, although object and threads are becoming more prominent in contemporary systems. Process management and CPU scheduling is the basis of multiprogramming operating system. By switching the CPU between processes the operating system can make the computer more productive. In this unit we will discuss the details of process and scheduling concepts. The concepts of semaphores, process synchronization, mutual exclusion and concurrency are all central to the study of operating systems and to the field of computing in general. The lessons 6 and 7 focuses on these. The lesson 8 of this unit focuses on IPC through message passing and classical IPC problem.
Lesson 1 : Process Concept
1.1. Learning Objectives
On completion of this lesson you will know :
i) multiprogramming
ii) process and process state
iii)  PCM.

1.2. Multiprogramming and its Problem
Multiprogramming is where multiple processes are in the process of being executed. Only one process is ever actually running on the CPU. The remaining process are in a number of others states including.
blocked,
Waiting for some event to occur, this includes some form of I/O to complete.
ready,
Able to be executed just waiting on the ready queue for its turn on the CPU.
The important part of multiprogramming is the execution is interleaved with I/O. This makes it possible for one process to be executing on the CPU and for other processes to be performing some form of I/O operator. This provides more efficient use of all of the resources available to the operating system.
Problems involved with multiprogramming are described below
resource management
Multiprogramming is where multiple processes are in the process of being executed.Multiple processes must share a limited number of resources including the CPU, memory, I/O devices etc. These resources must be allocated in a safe, efficient and fair manner. This can be difficult and provides more overhead.
protection
Processes must be prevented from accessing each others resources.
mutual exclusion and critical sections
there are times when a process must be assured that it is the only process using some resource
extra overhead for the operating system
The OS is responsible for performing all of these tasks. These tasks require additional code to be written and then executed.
Benefits
The benefits of multiprogramming are increased CPU utilization and higher total job throughput. Throughput is the amount of work accomplished in a given time interval.

1.3. Process
A process is defined as an instance of a program in execution. A process is a sequential unit of computation. The action of the unit of computation is described by a set of instructions executed sequentially on a Von-Neuman computer, using a set of data associated with the process. The components of a process are the programs to be excepted. The data on which the program will execute, resources required by the program (e.g. memory) and the status of the execution. For the process to execute; it must have a suitable abstract machine environment. In various operating systems, processes may be called jobs, users, programs, tasks or activities. A process may be considered as a job or time shared program.
Share:

Operating System Structure

Lesson 3 : Operating System Structure

3.1. Learning Objectives
On completion of this lesson you will know :
i) different types of OS system structure
ii) how a system call can be made
iii) micro kernel.

3.2. Operating System Structure

A number of approaches can be taken for configuring the components of an operating system, ranging from a monolithic to a virtual machines. To conclude the introduction, we identify several of the approaches that have been used to build OS. There are four different structures of operating system, but in this lesson we will discuss only three of them.
 
3.2.1. Monolithic System
The monolithic organization does not attempt to implement the various functions process, file, device and memory management in distinct modules. Instead, all function are implemented within a single module that contains all system routines or process and all operating system data structure.
The operating system is written as a collection of procedures, each can call any of the other ones whenever it needs to. When this technique is used, each procedure in the system has a well defined interface in terms of parameters and results, and each one is free to call any other one, if the latter provides some useful computation that the former needs.
In monolithic systems, it is possible to have at least a little structure. The services (system calls) provided by the operating system are requested by putting the parameters in well-defined places, such as in registers or on the stack, and then executing a special trap instruction known as a kernel call or supervisor call.
This instruction switches the machine from user mode to kernel mode (also known as supervisor mode), and transfers control to the operating system, shown as event 1 in Fig. 2.3. Most CPUs have two modes; kernel mode, for the operating system, in which all instructions are allowed; and user mode, for user programs, in which I/O and certain other instructions are not allowed.
The operating system then examines the parameters of the call to determine which system call is to be carried out, shown as 2 in Fig. 2.3. Next the operating system indexes into a table that contains in slot x a pointer to the procedure that carries out system call x. This operation, shown as 3 in Fig..2.3, identifies the service procedure which is then called. Finally, the system call is finished and control is given back to the user program.
Share:

Wednesday, August 2, 2017

System Calls and System Program (2)

Lesson 2 : System Calls and System Program

2.2.2. File Manipulation
The file system will be discussed in more detail in unit 7. We first need to be able to create and delete files. Once the file is created, we need to open it and use it. We may also read, write, and reposition (rewinding it or skipping to the end of the file). Finally, we need to close the file, indicating that we are no longer using it.
We may need these same sets of operations for directories if we have a directory structure in the file system. In addition, for either files or directories, we need to be able to determine the values of various attributes, and perhaps reset them if necessary. File attributes include the file, name a file type, protection codes, accounting information, and so on. Two system calls, get file attribute and set file attribute are required for this function.
2.2.3. Device Management
Files can be thought of a abstract or virtual devices. Thus many of the system calls for files are also needed for devices. If there are multiple users of the system, we must first request the device, to ensure that we have exclusive use of it. After we are finished with the device, we must release it. Once the device has been requested (and allocated to us), we can read, write, and (possibly) reposition the device, just as with files.
2.2.4. Information Maintenance
Many system calls are used transferring information between the user program and the operating system. For example, most systems have a system call to return the current time and date. Other system calls may return information about the system, such as the number of current users, the version number of the operating system, the amount of free memory or disk space, and so on.
In addition, the operating system keeps information about all of its jobs and processes, and there are system calls to access this information. Generally, there are also calls to reset it (get process attributes and set process attributes).
The following summarizes the types of system calls normally provided by OS.
i). Process Control
a) End, Abort
b) Load
c) Create Process, Terminate Process
d)  Get Process Attributes, Set Process Attributes
e) Wait for Time
f) Wait Event, Signal Event.
ii). File Manipulation
a)  Create File, Delete File
b)  Open, Close
c)  Read, Write, Reposition
d) Get File Attributers, Set File Attributes.
iii). Device Manipulation
a) Request Device, Release Device
b)  Read, Write, Repositionc
c)  Get Device Attributes, Set Device Attributes.
iv). Information Maintenance
a) Get Time of Date, Set Time or Data
b) Get Data System, Set System Data
c) Get Processes, File or Device Attributes, Set Process, File Device Attributes.
System calls to the operating system are further classified according to the type of call. There are :
a) Normal Termination
b) Abnormal Termination
c) Status Request
d) Resource Request and
e) I/O Requests.
Share:

System Calls and System Program

Lesson 2 : System Calls and System Program

2.1. Learning Objectives
On completion of this lesson you will know:
iO system calls
ii) categorized system calls and system programs
iii) discuss system program.


2.2. System Calls
User programs communicate with the operating system and request services from it by making system calls. Fundamental services are handled through the use of system calls. The interface between a running programs and the operating system is defined by what is referred to as systems calls. A system call is a special type of function call that allows user programs to access the services provided by the operation system. A system call will usually generate a trap, a form of software interrupt. The trap will force the machine to switch into the privileged kernel mode-that allows access to data structures and memory of the kernel. In other words, system calls establish a well defined boundary between a running object program and the operating system. When a system call appears in a program, the situation is equivalent to a conventional procedure call whereby control is transferred to operating system routine invoked during the run time along with change of mode from user to supervisor. These calls are generally available as assembly language instructions, and are usually listed in the manuals used by assembly language programmers.
System calls can be roughly grouped into three major categories: process or job control, device and file manipulation, and information maintenance. In the following discussion, the types of system calls provided by an operating system are presented.
2.2.1. Process and Job Control
A running program needs to be able to halt its execution either normally (end) or abnormally (abort). If the program discovers an error in its input and wants to terminate abnormally.
A process or job executing one program may want to load and execute another program. This allows the control card interpreter to execute a program as directed by the control cards of the user job.
If control returns to the existing program when the new program terminates, we must save the memory image of the existing program and effectively have created a mechanism for one program to call another program. If both programs continue concurrently, we have created a new job or process to be multi-programmed. Then system call (create process or submit job) are used.
If we create a new job or process, to control its execution, then control requires the ability to determine and reset the attributes of a job or process, including its priority, its maximum allowable execution time, and so on (get process attributes and set process attributes). We may also want to terminate a job or process that we created (terminate process) if we find that it is incorrect or on longer needed.
Having created new jobs or processes, we may need to wait for them to finish execution. We may want to wait for a certain amount of time (wait time), but more likely we want to wait for a specific event (wait event). The jobs or processes should then signal when that event has occurred (signal event).
Share:

Process Management

Unit 3 : Process Management

Processes are the most widely used units of computation in programming and systems, although object and threads are becoming more prominent in contemporary systems. Process management and CPU scheduling is the basis of multiprogramming operating system. By switching the CPU between processes the operating system can make the computer more productive. In this unit we will discuss the details of process and scheduling concepts. The concepts of semaphores, process synchronization, mutual exclusion and concurrency are all central to the study of operating systems and to the field of computing in general. The lessons 6 and 7 focuses on these. The lesson 8 of this unit focuses on IPC through message passing and classical IPC problem.


Lesson 1 : Process Concept
1.1. Learning Objectives
On completion of this lesson you will know :
i)  multiprogramming
ii) process and process state
iii) PCM.
1.2. Multiprogramming and its Problem
Multiprogramming is where multiple processes are in the process of being executed. Only one process is ever actually running on the CPU. The remaining process are in a number of others states including.
blocked,
Waiting for some event to occur, this includes some form of I/O to complete.
ready,
Able to be executed just waiting on the ready queue for its turn on the CPU.
The important part of multiprogramming is the execution is interleaved with I/O. This makes it possible for one process to be executing on the CPU and for other processes to be performing some form of I/O operator. This provides more efficient use of all of the resources available to the operating system.
Problems involved with multiprogramming are described below Multiple processes must share a limited number of resources including the CPU, memory, I/O devices etc. These resources must be allocated in a safe, efficient and fair manner. This can be difficult and provides more overhead. protection
Processes must be prevented from accessing each others resources. mutual exclusion and critical sections
there are times when a process must be assured that it is the only process using some resource extra overhead for the operating system
The OS is responsible for performing all of these tasks. These tasks require additional code to be written and then executed.
Benefits
The benefits of multiprogramming are increased CPU utilization and higher total job throughput. Throughput is the amount of work accomplished in a given time interval.
1.3. Process
A process is defined as an instance of a program in execution. A process is a sequential unit of computation. The action of the unit of computation is described by a set of instructions executed sequentially on a Von-Neuman computer, using a set of data associated with the process. The components of a process are the programs to be excepted. The data on which the program will execute, resources required by the program (e.g. memory) and the status of the execution. For the process to execute; it must have a suitable abstract machine environment. In various operating systems, processes may be called jobs, users, programs, tasks or activities. A process may be considered as a job or time shared program.Reasons for Transition
1. Operating system places process onto CPU.
2. Process has to wait for some event to occur.
a) Some form of I/O.
b) an interrupt must be handled.
3. The event of the process was waiting on has occurred.
4. The processes quantum has expired.
5. The process finishes execution.
Share:

Translate

Total Pageviews

Search This Blog

Blog Archive

Recent Posts